আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। রবিবার শুরু হওয়া এই সংঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে লড়াই থামিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো।
কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভেন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। নতুন করে সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একে অপরকে দায়ী করেছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে তাদের আরও ২৬ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে ২৮ জন নিহতের কথা জানানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তাদের মোট নিহতের সংখ্যা ৮৪।
এছাড়া আজারবাইজান ও আর্মেনীয় পক্ষের ৯ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আজারবাইজানের ৭ জন ও আর্মেনিয়ার ২ জন। বেসামরিকসহ সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে।
যদিও আজারবাইজানের কোনও সেনা নিহতের কথা জানা যায়নি। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে জ্বলন্ত সাঁজোয়া যান থেকে দগ্ধ ও রক্তাক্ত সেনাদের নামতে দেখা গেছে। বলা হয়েছে, এরা আজারবাইজানি সেনা। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জানিয়েছে, তাদের আহতের সংখ্যা শতাধিক এবং আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক আহতের কথা কথা জানিয়েছে।
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আজারবাইজানকে হামলা ও বেসামরিক স্থাপনায় সামরিক অভিযান বন্ধে নির্দেশনা জারির জন্য ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে আর্মেনিয়া। সোমবার আদালতের পক্ষে এই আহ্বানের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, তারা অনুরোধটি যাচাই করছে। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করে আসছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন