ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির এক স্থানীয় নেতা সোমবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে গত এক মাসে সেখানে ‘জঙ্গীদের’ হত্যার শিকার হলেন ৫ বিজেপি কর্মী। একের পর ‘জঙ্গিদের’ টার্গেটে পরিণত হওয়ায় ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সোমবার মারা যাওয়া ওই বিজেপি নেতা রাজধানী শ্রীনগরের একটি গ্রাম প্রধান ছিলেন। তাকে শ্রীনগরের উপকণ্ঠে তার বাড়ির কাছেই গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তিনি ওই হামলার শিকার হন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার উন্নতি, প্রগতি ও নিরাপত্তার অজুহাতে হিমালায়ান রাজ্যটির স্বায়ত্তশাসন মর্যাদা বাতিল করে দেয়। এরপর এক বছর পার হয়েছে, উপরোক্ত কোনও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ক্রমাগত। আর এখন উল্টো ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজিপে) স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেই মৃত আতঙ্ক ভর করেছে।
এর আগে গত মাসে কাশ্মীরের বানদিপোরা জেলায় এক বিজেপি নেতা, তার ভাই ও বাবাকে হত্যা করে জঙ্গিরা। গত মাসে হামলা শুরু হওয়ার পর আতঙ্কে অন্তত ১৬ বিজেপি সদস্য দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এদের আট জনই করেছেন গত দুই দিনে।
এই অবস্থায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বহু বিজেপি নেতা-কর্মীকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরকারি স্থাপনার নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে।
গত বছর আগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীর একরকম অচল হয়ে আছে। সেখানে বিজেপি ছাড়া বাকি প্রায় সব দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে সাবেক তিনজন মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।
এদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হলেও তাদের রাজনৈতিক তৎপরতার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দমন অভিযানের অংশ হিসেবে অঞ্চলটিকে মাসের পর মাস ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এমনকি বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৪ ও ৫ আগস্ট কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা হয়।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন