এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে কেরালার একাধিক জেলায়। অধিকাংশ জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। এর মধ্যেই শুক্রবার সকালে ইদুক্কি জেলায় নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে মাটি আলগা হয়ে ধস নেমেছে। ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তবে সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইডুক্কি জেলার মুন্নারের কাছে অবস্থিত রাজামালা এলাকায়। এই সমস্ত প্রবল বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার মানুষকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। সতর্ক রয়েছে জেলা প্রশাসন।যে মুন্নার পর্যটকদের মন ভালো করার জাদু যানে, সেই মুন্নারের প্রকৃতি আজ বিপর্যস্ত। প্রবল ভূমিধসে মুন্নার আজ ব্যাপক ধ্বংসলীলা র শিকার। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বায়ুসেনার সাহায্য চেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ভূমিধসের জেরে ৮০ জনের বেশি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ ও উদ্ধারকারীদল ঘনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে। শেষ কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে বিঘ্ন হয়েছে পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। বিঘ্ন নেটওয়ার্ক ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও। সূত্রের খবর, প্রায় ২০টি বাড়ি ধসে গিয়েছে। মালাপ্পুরমে লাল সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। এ ছাড়াও এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, পালাক্কর, ত্রিশুর, ওয়ানাদ, কোঝিকোর, কান্নাউর, কাসারগোদ এলাকায় আজকের জন্য অরেঞ্জ সতর্কতা জারি হয়েছে। আইএমডি জানিয়েছে, ৯ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে।
ইডুক্কি জেলার রাজমালায় ভূমিধসের কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের চিকিৎসার ব্যয় রাজ্য সরকার বহন করবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে।অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র জল ছাড়ার ফলে কর্নাটকের একটা বড় অংশ বানভাসি। একইসঙ্গে চলছে নাগাড়ে বৃষ্টি। বন্যা এড়াতে উত্তর কানাড়ায় বিশাল বাঁধের লকগেট খুলে জল ছাড়া শুরু করেছে সরকার। অন্যান্য বাঁধের জলও ছাড়া হচ্ছে। বিভিন্ন নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস ইয়েদুরাপ্পা হাসপাতাল থেকেই বন্যাত্রাণে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন