করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকারী ৬টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি স্বাস্থ্য কার্যক্রম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান।
তিনি জানান, ৬টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ৩টিই চীনের। তবে এখন পর্যন্ত কোনও নিশ্চয়তা নেই যে, এসব ভ্যাকসিনই কার্যকর হবে।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রায়ান এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বিশ্বে বর্তমানে মোট ১৬৫টি সম্ভাব্য করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। প্রতিটি ভ্যাকসিনই পৃথক পৃথক পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে প্রচুর সংখ্যক মানুষের ওপর ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়। দেখা হচ্ছে, সবচেয়ে বেশি কত সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও-এর এই কর্মকর্তা জানান, তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শেষ না হলে ভ্যাকসিন যে কার্যকর হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না। তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে রয়েছে চীনের চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক, উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট ও বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের ভ্যাকসিন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্না করোনা ভ্যাকসিনের ওপর সবার আগে থেকে কাজ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যানুযায়ী, তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম দুই পর্বের পরীক্ষার ফল আশাব্যঞ্জক। গত ২৭ জুলাই থেকে চূড়ান্ত তথা তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা বিশ্বে মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের সহযোগী। ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল চলছে বিভিন্ন দেশের রোগীদের ওপর।
একই সময়ে ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলা নামে দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। দুই ভ্যাকসিনই মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
এর আগেও পোলিও, র্যাবিস, চিকুনগুনিয়া, জাপানি এনকেফালাইটিস, রোটা ভাইরাস ও জিকা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদন করেছিল ভারত।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন