নতুন করে করোনাভাইরাসের যে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তাতে করে দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ধসে পড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করে দেওয়ার পর এক কোটিরও মানুষকে ফের লকডাউন করে রেখেছে ফিলিপাইনের সরকার। বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।
একদিনের নোটিশে মঙ্গলবার থেকে দুই সপ্তাহের এই লকডাউন শুরু হয়েছে দেশটি লুজান দ্বীপে অবস্থিত রাজধানী ম্যানিলা ছাড়াও আশপাশের আরও চারটি প্রদেশে। করোনার বিস্তার রোধে জারি লকডাউন থেকে গত জুনে মুক্তি মেলে দেশটির মানুষের কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফের লকডাউন করা হলো।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন লক্ষাধিক। সোমবারও দেশটিতে একদিনে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬ হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ১১৫ জন ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। সামনে আক্রান্ত ও মৃত্যু আরও বাড়বে বলেই শঙ্কা।
ফিলিপাইনের হাসপাতালগুলো করোনায় নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত মানুষের সেবা দিতে মারাত্মক হিমশিম খাচ্ছে। স্থানের সংকুলান না হওয়ায় অনেকে হাসপাতাল অসংখ্য মানুষকে ভর্তি নিচ্ছে না। হাসপাতালের দুয়ার থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। এমন অবস্থায় সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় উদ্বেগ আতঙ্কে রুপি নিয়েছে।
লকডাউন মানে কোনো মানুষ জরুরি কোনো পণ্য কেনা এবং শরীরচর্চা করা ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে না। চলাচল করবে না অভ্যন্তরীণ কোনো বিমান। রেস্তোরাঁগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে তবে কেউ সেখানে বসে খেতে পারবে না, খাবার কিনে ঘরে নিয়ে যেতে হবে।
গত শনিবার ফিলিপাইনের ৮০টি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরা চলমান এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের বিস্তার রোধে বিধিনিষেধগুলো পুনরায় আরোপ ও তা কঠোর করার জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের প্রতি আহ্বান জানানোর পর সরকার নতুন করে লকডাউন জারির এমন ঘোষণা দিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন