গত বছরের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ভারত সরকার। ওইদিন কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেখতে দেখতে একবছর পূর্ণ হতে চলেছে ওই ঘটনার। এই সময় জম্মু ও কাশ্মিরে উত্তেজনা রুখতে আজ ৪ আগস্ট ও আগামীকাল কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
শ্রীনগরের জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তাদের কাছে এই খবর এসেছে যে, কাশ্মীরে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কিছু গোষ্ঠী ৫ আগস্ট দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করার পরিকল্পনা করেছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করার জন্য সহিংস বিক্ষোভ হতে পারে বলেও সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে এসেছে। ফলে এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাশ্মির উপত্যকা জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে যারা আবশ্যকীয় পরিষেবাগুলোর সাথে যুক্ত তেমন ব্যক্তিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উত্তেজনা রুখতে উপত্যকার কয়েক শ’ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিসহ অনেক নেতা এখনো গৃহবন্দি অবস্থাতেই রয়েছেন।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের আরেক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, যাকে প্রায় আট মাস আটক করে রাখার পরে গত ১১ মার্চ মুক্তি দেয়া হয়েছিল, তিনি এক টুইটে বলেন, ‘২০১৯-এ শ্রীনগরের পরিস্থিতির তুলনায় এবার আরো ২৪ ঘণ্টা আগেই সব প্রস্তুতি সারা হয়েছে এবং আমার ধারণা, উপত্যকা জুড়ে সব জায়গাতেই একই কাজ করা হচ্ছে, সব জায়গাতেই কঠোর কারফিউতে জারি করা হয়েছে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে আটক অবস্থায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাকে জননিরাপত্তা আইনে আরো তিন মাসের জন্য আটক করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতা করায় আটক করা হয় পিপলস কনফারেন্সের প্রধান সাজাদ লোনকেও। যদিও তাকে গত ৩১ জুলাই আটক অবস্থা থেকে মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মুফতি এক বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পরেও তাকে কবে মুক্তি দেয়া হবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলেনি কেন্দ্র।
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন