চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পর লাদাখে সেনা অবস্থান নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হওয়ায় নয়াদিল্লি চাচ্ছে তার প্রতিবেশি দেশগুলো চীন পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আনুক। রয়টার্সকে ভারতের দুটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে এশিয়ার অনেক দেশ থেকে আসা পণ্যের মান আরো উন্নত করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ ছাড়াও কঠোর বিধিনিষেধ ও ঘন ঘন যাচাই করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
ধাতব, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের জন্যে ইলেক্টনিক যন্ত্রাংশ, আসবাবপত্র, চামড়াজাত পণ্য, খেলনা, রাবার, বস্ত্র, এয়ারকন্ডিশনার, টেলিভিশন সহ অন্যান পণ্যের ক্ষেত্রে এধরনের কঠোর বিধি নিষেধ আরো করতে যাচ্ছে ভারত।
গত সপ্তাহে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক নোটিশ জারি করে বলেছে টেলিভিশনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিশেষ লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এধরনের নোটিশের ফলে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরের মত দেশগুলোর ভারতে পণ্য রফতানি বিঘ্নিত হবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ব্যাপক পণ্য ভারতে রফতানিয়েও শঙ্কিত রয়েছে নয়াদিল্লি।
তবে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক বর্তমানে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি করে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না ভারত। কারণ পাল্টা ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। তাই আমদানিকৃত পণ্যের মানের ওপর জোর দিয়েছে ভারত।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন এশিয়ার অনেক দেশের শিল্পই চীনা যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভরশীল। এসব পণ্যের ওপরই টার্গেট করছে ভারত। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করায় ভারতের সঙ্গে এসব দেশের বাণিজ্য ঘাটতিও রয়েছে।
লাদাখে চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হবার পর ভারত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ভাবলেও বাণিজ্য চীনের অনুকূলে রয়েছে ৫৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার। দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যে পরিমান হচ্ছে ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন