পশ্চিমবঙ্গে হিংসা ও দুর্নীতি প্রশাসনের অংশ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করে এবার সত্যজিৎ রায়ের রাজনৈতিক ব্যঙ্গ “হীরক রাজার দেশে”-র উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জগদীপ ধনখড়ের এক বছরের দায়িত্বে রাজভবন এবং রাজ্য সচিবালয় নবান্নের মধ্যে নানা সংঘাত সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠেছে। রাজ্যপাল বলেন, সত্যজিৎ রায় কখনই ভাবতে পারেননি যে তাঁর নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে। “পুলিশি নিরাপত্তার আড়ালে হিংসা, দুর্নীতি ও আধিপত্যবাদ প্রশাসনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে; আমরা একে কী বলব, হীরক রাজার দেশ?” বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
“গুপি গাইন বাঘা বাইন” ট্রিলজির দ্বিতীয় অংশ “হীরক রাজার দেশে” ১৯৮০ সালের সিনেমা হলেও প্রশাসন ও জনকল্যাণে ক্ষয়িষ্ণু রাজ্যের প্রতিচ্ছবির ক্ষেত্রে বর্তমান সময়েও ঠিক ততখানিই প্রাসঙ্গিক।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে এক বছর অতিবাহিত করার সময়ে নানা স্মরণীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি এও জানান যে সেই সব মুহূর্তেও বেদনাদায়ক বিভ্রান্তি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের দায়িত্বে এক বছর পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলি মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে... মানবাধিকারের সমঝোতা চলছে। গণতন্ত্রের সঙ্গে যে স্বাধীনতা থাকে তা হারিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, দুর্নীতি গণতান্ত্রিক কাঠামোকে মারাত্মকভাবে কলুষিত এবং কলঙ্কিত করেছে। এই কারণেই বাণিজ্য হোক বা শিল্পে উন্নয়ন হ্রাস পেয়েছে।
রাজ্যপাল আরও জানান যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন একটি সুস্থ গণতন্ত্রের মূল চাবিকাঠি, যা ভোট সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ না করলে এবং পুলিশ যদি পক্ষপাতিত্বমূলক ভূমিকা পালন করে তবে সম্ভব হয় না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন