নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ভারতের কেরালার এক চার্চের ফাদার রবিন ভাদাক্কুমচেরি। ২০১৮ সালে গির্জায় বসবাসকারী ১৬ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। গির্জা থেকে সেই মেয়েটিকে বেরও করে দেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
অভিযোগ দায়েরের পর পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন ফাদার। ২০ বছরের জেল হয় ৫২ বছরের ওই অপরাধীর। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পকসো ধারায় রবিনকে দেওয়া সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরালা হাইকোর্টে মামলা করেন ফাদার।
ফাদারের আইনজীবী দাবি করেন, তাদের প্রেমের সম্পর্কে ছিল। মেয়েটিও সাবালিকা ছিল বলে দাবি করেন তিনি। মেয়েটির অনুমতিতেই রবিন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। তারা বিয়ের জন্য পরিকল্পনাও করছিল বলে আদালতকে জানান আইনজীবী।
আদালতে বিচার চলার সময় নির্যাতিতার সন্তানও জন্মায়। শুনানিতে রবিন নিজেকে সেই বাচ্চার বাবা বলেও দাবি করেন। আইনজীবী দাবি করেন, বিয়ের আগেই শিশুটি জন্মানোয় এটিকে ধর্ষণের ঘটনা বলা হচ্ছে। বুধবার বিচারপতি সুনীল টমাসের কাছে অপরাধী রবিন আবেদন করেন, তিনি বিয়ে করবেন মেয়েটিকে। যদিও জামিন মঞ্জুর হয়নি।
সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ওই মামলার শুনানি চলার সময় একবারও মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায় বলে জানাননি অপরাধী ফাদার রবিন। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পরেই মেয়েটির জন্ম দেওয়া শিশুকে নিজের বলে মানতে বাধ্য হয়েছেন রবিন, তার পরেই বিয়ে করতে চেয়েছেন। অপরাধের সময় মেয়েটি সাবালিকা ছিল না বলেও দাবি সরকার পক্ষের আইনজীবীর। কেরালা হাইকোর্টে এই মামলার আগামী শুনানি হবে ২৪ জুলাই।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন