অবশেষে তিনমাস পর ১৪ দেশের নাগরিকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো ইউরোপিয়ান সীমান্ত।করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সীমান্ত খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ১ জুলাই থেকে ১৪টি দেশের নাগরিকেরা ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে এই তালিকায় নেই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও চীন। বিবিসি, বাংলা ট্রিবিউন
আগামী ৩১ ডিসেম্বর ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ নাগরিকদের ইইউ নাগরিক হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ইইউ দেশগুলোতে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়া খসড়া তালিকায় বলা হয় অন্তত ৫৪টি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে ইইউ। তবে সোমবার (২৯ জুন) প্রকাশ করা চূড়ান্ত তালিকায় রাখা হয়েছে ১৪টি দেশের নাগরিকদের।
ইইউ’র ঘোষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে নিরাপদ বলে বিবেচিত হওয়া ১৪টি দেশের নাগরিকেরা ১ জুলাই থেকে ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে। এগুলো হলো আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, নিউ জিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে। তবে এই তালিকায় সংশোধনী আসতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই তালিকায় চীনকে যুক্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে ইইউ। চীন সরকার যদি ইইউ নাগরিকদের জন্য পারস্পারিক ভ্রমণ চুক্তিতে রাজি হয় তাহলেই কেবল ওই তালিকায় তাদের যুক্ত করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন