ভারতে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ হাজার ৬০০ এরও বেশি মানুষ।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর লাইভ আপডেট থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১০৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ হাজার ৬২৭ জন।
এদিন দুপুরে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ১৭১ জন। এর ফলে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছিল এক লাখ ৯৮ হাজার ৭০৬ জনে।
আক্রান্তের দিকে রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাট।
মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ হাজার ২৮৬ জন। তামিলনাড়ুতে ২২ হাজারের বেশি আক্রান্ত, মারা গেছেন ১৭৩ জন।
দিল্লিতে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৭০ জনেরও বেশি। গুজরাটে আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি আর মৃত্যু ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার।
কেন্দ্রীয় করোনা প্রতিরোধক টাস্ক ফোর্স এ দিন জানিয়েছে, ভারতের একাধিক জায়গায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডিসিএস রেড্ডির নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা যৌথ বিবৃতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা জানিয়েছে। তাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে গতকাল থেকে দেশটিতে পঞ্চম দফা লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ‘আনলক ওয়ান’ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ও আক্রান্ত জোন বাদে অন্যত্র ধাপে ধাপে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনা হবে।
ইতিমধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক সপ্তাহের জন্য রাজ্যের সীমানা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডে পর্যটন মন্ত্রী সাতপাল মহারাজ করোনা পজিটিভ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতসহ পুরো মন্ত্রিসভাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন