পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন নিরাপত্তার খাতিরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মাটির নিচের বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়। এই ঘটনায় ট্রাম্পকে কটাক্ষ করছে বেইজিং। চীন হংকংয়ে চলা গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিক্ষোভের তুলনা করে। পাশাপাশি ওয়াশিংটনকে ‘হিপোক্রেট’ বলেও উল্লেখ করা হয়। প্রেসটিভি
সোমবার বেইজিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও বলেন, ‘মার্কিন সমাজে বর্ণবৈষম্য এবং পুলিশি নৃশংসতা কতটা গভীর ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুই তা দেখিয়ে দিল।’ বর্ণবৈষম্য দূর করে কী ভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে মার্কিন সরকারকে চিন্তা-ভাবনার পরামর্শ দেন তিনি। দ্য গার্ডিয়ান
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপপ্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এক টুইট বার্তায় বলে, ‘হংকংয়ে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাইছে চীন। কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ নিজেদের দেশে গায়ের জোরে বিক্ষোভ দমন করছে তারা।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ লিখেছেন, ‘কেউ কেউ ভাবেন কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনের কোনও মূল্য নেই।’ বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বের একজোট হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। ব্লুমবার্গ
জর্জ ফ্লয়েডের শেষ বাক্য উদ্ধৃত করে টুইটারে ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’ লেখেন বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আরেক মুখপাত্র হুয়া চুনিংও।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু শিজিন বলেন, ‘মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হংকংয়ের সহিংস বিক্ষোভে দেখে বলেছিলে অসাধারণ দৃশ্য। আশা করি এ বার বাড়ির জানলা থেকে একই ধরনের দৃশ্য উপভোগ করছেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা।’
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প মিনেপোলিসের বিক্ষোভকারীদের ‘ঠগ’ বলেছিলেন ও তাঁদের উপর গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি জানান, তার প্রশাসন কঠোর হস্তে সহিংস কার্যক্রম দমন করবে। আরটিআস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন