মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি পোস্টে প্রথমবার ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ সতর্কতার লিংক জুড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান টুইটার। ওই লিংকে গেলে বোঝা যায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির শীর্ষ নেতার টুইটের দাবি ‘মিথ্যা’। দেশ রূপান্তর
নভেল করোনাভাইরাসের সময় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটার বুথে গিয়ে ভোট দিতে চান না। একটি জরিপে এমন ফলাফল আসায় আমেরিকায় ‘মেইল-ইন ব্যালট’ পদ্ধতি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই পদ্ধতির বিষয়ে ট্রাম্প মঙ্গলবার একটি টুইট করেন। ট্রাম্পের দাবি ‘মেইল-ইন ব্যালট’ পদ্ধতি অনুসরণ করলে বক্স ছিনতাই করা হবে এবং জাল ব্যালট পড়বে। তাই এটির সম্ভাবনা শূন্য।
এভাবে ডাকের মাধ্যমে ব্যালট পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ভোট হয়। ১৭টি রাজ্যের ভোটারদের এই সুবিধা পেতে হলে ‘উপযুক্ত কারণ’ দেখিয়ে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু মহামারীর সময় সবাই এখন এই সুবিধা চাইছেন।
ট্রাম্পের বিভ্রান্তিকর পোস্টের নিচে টুইটার তাদের নতুন নীতিমালার অংশ হিসেবে নীল রংয়ের ফ্যাক্ট-চেকিং ল্যাবেল জুড়ে দিয়েছে।
ট্রাম্প এটি দেখে রীতিমতো খেপে গেছেন। পরবর্তী টুইটে বলেন, কোম্পানিটি বাকস্বাধীনতার সম্পূর্ণ কণ্ঠরোধ করছে।
টুইটারের জুড়ে দেয়া লিংকে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীরা সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন গণমাধ্যমের নিউজে যুক্ত হয়েছেন। সেখানে লেখা ছিল ‘আপনি কী জানতে চান’। এই অপশনে টুইটার জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্টের দাবি মিথ্যা।
করোনাভাইরাস নিয়ে চারদিকে শতশত বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়া শুরু হলে চলতি মাসে টুইটার এই পদ্ধতি চালু করে। কিন্তু কখনো প্রেসিডেন্টের মতো শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির টুইটে এটি দেখা যায়নি।
ট্রাম্প আরেকটি টুইটে দাবি করেন, ৩ নভেম্বরের আসন্ন নির্বাচনে টুইটার হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি বরদাস্ত না করার ঘোষণাও দিয়েছেন!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন