করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের গয়ার এক নারী। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই নারী ও তার স্বামী লুধিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানেই কিছুদিন আগে গর্ভপাত হয়। ওই অবস্থাতেই সেখান থেকে বিহারের গয়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন তারা। তখন সারা দেশে লকডাউন।
কিন্তু ২৫ মার্চ নিজের বাড়ি এসে পৌঁছনোর পর ফের রক্তপাত শুরু হয়। বাধ্য হয়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই অনুগ্র নারায়ণ মগধ মেডিকেল কলেজে তাকে ভর্তি করানো হয়৷ রাখা হয় ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে৷ চিকিৎসাও শুরু হয়।
কিন্তু ১ এপ্রিল করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয়া হয়৷
সেইখানেই ওই নারী অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে ধর্ষণ করেছেন! প্রথমে সবাই অভিযোগ অবিশ্বাস করেন।
কয়েক দিন পরে করোনার পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই নারীর শরীর ক্রমে খারাপ হতে থাকে। বেড়ে যায় রক্তপাতও।
সপ্তাহখানেক পরে গত বুধবার মারা যান তিনি। এর পরেই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্বামী ও শাশুড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কোন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন