করোনা আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গের এক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে ফিরতে না পেরে ওই ভাড়াটের এখন ঠাঁই হয়েছে গাছতলায়।
সুধীর নামের ওই ভাড়াটিয়া কেরালায় ট্রেনের পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি লকডাউন ঘোষণা করায় পশ্চিমবঙ্গে তার পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তিনি বাড়ি ফিরলেও করোনা আতঙ্কে বাড়িওয়ালা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
শুক্রবার (৩ এ্রপ্রিল ) ভারতের আনন্দাবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গত ২৩ মার্চ সুধীর কেরাল থেকে বাড়িতে ফেরেন। সেখানে তিনি ট্রেনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। সম্প্রতি লকডাউন ঘোষণা করায় কেরাল থেকে ফিরে আসেন তিনি। ক্যানিং থানার তালদি রাজাপুর এলাকায় সোনা ঘরামির বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন সুধীর। কেরাল থেকে ফিরে সরকারি নির্দেশ মেনে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তিনি পরিবারের কাছে যান। কিন্তু বাড়ির মালিক তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। আগামী এক মাস যেন তিনি বাড়িতে না ঢোকেন সেই নির্দেশনাও দেন।
হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করিয়েই তিনি বাড়িতে ফিরেছেন বলে জানালেও তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি গ্রামের লোকজন দিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
পরে সুধীর আবার ক্যানিং হাসপাতালে চলে যান। শারীরিক সমস্যা না থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে চাননি চিকিৎসকরা। তারা ১৪ দিন হোম কোয়রেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সুধীর বলেন, বাড়িওয়ালা বাড়িতে ঢুকতে না দিলে আমি বিডিও অফিসে যাই। তারা আবার আমায় হাসপাতালে পাঠান। সেই থেকে এভাবে হাসপাতাল চত্বরেই গাছের নিচে দিনরাত কাটছে আমার।
এদিকে বাড়িওয়ালা বলছেন, ‘যারাই বাইরে থেকে আসছেন, তাদের বাড়িতে একা থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আমার বাড়িতে অনেক মানুষ থাকেন। কমন পায়খানা, বাথরুম, টিউবওয়েল সবাই ব্যবহার করি। উনি এখানে থাকলে বাকিদের সমস্যা হতে পারে, তাই উনাকে ১৪ দিন বাইরে থাকতে বলেছি।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন