করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মিয়ানমারে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে ভয়াবহ এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রথম কারও মৃত্যু হলো। মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের একটি হাসপাতালে ৬৯ বছর বয়সী এ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। খবর রয়টার্স।
মঙ্গলবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র করোনা ভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যুর এ খবর জানান। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মৃত ওই ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। দেশে ফেরার পথে সিঙ্গাপুরেও তিনি কিছু সময় ছিলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র খিন খিন গাই বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে সাতটায় তার মৃত্যু হয়।’ তিনি আগে থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
মিয়ানমারে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি। মিয়ানমারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কম হলেও দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত রবিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এ সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ, থাইল্যান্ডে কাজ করা কয়েক হাজার অভিবাসী শ্রমিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুব নাজুক।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮১৫। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩ হাজার ৭১৬ জন।
এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৭ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০৭ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৫০ জন।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৫ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ জনের অবস্থা সাধারণ। বাকি ২৯ হাজার ৪৮৮ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইতালি। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১১ হাজার ৫৯১ জন। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি স্থান চীনকেও পেছনে ফেলেছে স্পেন। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৭১৬ জন। চীনে ৩ হাজার ৩০৫ ফ্রান্সে ৩ হাজার ২৪ জন। ইরানে ২ হাজার ৭৫৭ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪৮ জন। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন