গোটা বিশ্ব করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে৷ কিন্তু বিশ্ব মহামারির এই সময়টাও কাজে লাগাতে চায় চীন৷ নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঝেরে ফেলতে করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং চিকিৎসকদের পাঠাচ্ছে বেজিং৷ এতে তাদের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হচ্ছে, সেরকমই দানের নামে চিকিৎসা উপকরণ পাঠিয়ে বিভিন্ন দেশের থেকে মোটা টাকা আয়ও করছে চীন সরকার৷
এদিকে, চীন থেকে কয়েক লাখ মাস্ক আমদানি করে সেসব মাস্ক দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরণ করেছে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেসব মাস্ক গুণগত মানের না হওয়ার এবার তা পূরণ করতে পারেনি। তাই ক্ষুব্ধ ডাচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেসব মাস্ক আবার চীনের কাছে ফিরিয়ে দিতে চান।
নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য মন্ত্রলায় রোববার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চীনের একটি মাস্ক উৎপাদনকারী কোম্পানির কাছ থেকে গত ২১ মার্চ এসব মাস্ক আমদানি করেছিল তারা। কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেবব মাস্কের মান পরিদর্শন করে দেখেন, মাস্কগুলো যে মানের হওয়ার কথা সেই মানের নয়।
বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ‘আরও যেসব মাস্ক দেশের আসার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তার অর্ডার শিগগিরই বাতিল করা হবে। এছাড়া যেসব মাস্ক দেশে এসেছে কিন্তু বিতরণ করা হয়নি সেসব মাস্ত ওই কোম্পানির কাছে ফেরত পাঠানো হবে। মান যাচাইয়ের জন্য দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় মাস্কগুলো উৎরাতে পারেনি।’
তবে চীন থেকে মাস্ত আমদানি করে বিপাকে পরা দেশ নেদারল্যান্ডসই প্রথম নয়। এর আগে গত সপ্তাহে স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যালভাডর ইলা নিজে জানিয়েছেন, চীনের থেকে তারা ৯৫০টি ভেন্টিলেটর, ৫৫ লক্ষ টেস্টিং কিট, ১.১ কোটি গ্লাভস এবং ৫০ কোটি মুখের মাস্ক কিনেছেন৷ কিন্তু ইতিমধ্যে গুণমান খারাপ বলে অভিযোগ তুলে স্পেন অধিকাংশ টেস্টিং কিট চীনকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে৷
পরে চীন স্বীকার করে নেয়, যে সংস্থার থেকে তারা এই কিট কিনেছিল, তাদের করোনা টেস্টিং কিট তৈরির অনুমোদনই ছিল না৷ কিটগুলোর ৩০ শতাংশই ছিলো ত্রুটিপূর্ণ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন