করোনা নামক মারণ ভাইরাসের শুরুটা হয়েছিল চীন থেকেই। কিন্তু বর্তমানে চীন অনেকটা নিজেদের সামলে নিয়েছে। এমনকি যখন চীনের উহান শহরে মারণ ভাইরাস রীতিমতো মহামারির আকার নিয়েছে, সে সময়ও চীনের অন্য শহরে এই রোগের আঁচ ততটা পড়েনি।
কিন্তু কি উপায়ে এই মারণ রোগের হাত থেকে বেঁচেছে চীন?
সারা বিশ্ব যখন চীনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে, সে সময় সামনে এল এক বিস্ফোরক খবর। চীনে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সায় নাকি ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করা হচ্ছে?
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিও তাদের একটি প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, চীন করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যে ইঞ্জেকশন ব্যবহার করছে তাতে থাকছে ভাল্লুকের পিত্ত। প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিশ্বের পশুপ্রেমীদের মধ্যে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে। কিভাবে নিরীহ পশুদের বলি দিয়ে এই কাণ্ড চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, চীনে পশু হত্যা কোনও নতুন ঘটনা নয়। প্রকৃতপক্ষে উহান শহর, যাকে কিনা এই ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল ধরা হচ্ছে। সেই উহানের বাজারে বিভিন্ন বন্য প্রাণী কেনা বেচা হত বলে অভিযোগ। সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উহানের মার্কেটে কুকুর থেকে শুরু করে সাপ সহ নানান জীবের মাংস ও শরীরের অংশ কেনা বেচা হচ্ছে। করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার পর চীনা কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, তারা বন্ধ করে দিয়েছে উহান মার্কেট।
তবে ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহারের সত্যতা জানায়নি চীনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিতে কর্মরত অ্যারন হোয়াইট জানাচ্ছেন, চোরাশিকারিদের কাছ থেকে এই ভাল্লুকের পিত্তের ব্যবহারের কথা তিনি জানতে পেরেছেন।
এছাড়া চীনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, বহু আগে থেকেই ব্রংকাইটিস এবং আপার রেসপিরেটরি সংক্রমণের চিকিত্সায় এই ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে আসছে। এই খবর সত্যি হলে, কত ভাল্লুকের যে চীনে মৃত্যু হয়েছে তা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন