নেপালের প্রথম করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন ৩২ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী। যিনি চীনের উহান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করছিলেন। সম্পূর্ণ সুস্থ এ ব্যক্তির অন্য কোনো বড় অসুখে ভোগার কোনো পূর্ব ইতিহাসও নেই।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি প্রথম তার শরীরে কভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। এর ছয়দিন পর নিজ দেশে ফিরেন ওই শিক্ষার্থী। ১৩ জানুয়ারি কাঠমান্ডুর সুকরারাজ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ হসপিটালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। সে সময় তার দেহের তাপমাত্রা খুব একটা বেশিও ছিল না। ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। আর সাথে ছিল শুকনো কাশি।
এছাড়া আর কোনো লক্ষণের উপস্থিতি ছিল না। উহানের ওয়েটমার্কেটের সঙ্গেও তার কোনো সংস্রব পাওয়া যায়নি। এর পরও সন্দেহ হওয়ায় তার গলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে হংকংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। সেখানে রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর অ্যাসে পরীক্ষা করানোর পর ধরা পড়ে ওই শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত।
পরে দ্রুত ওই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশকিছু অ্যান্টিবায়োটিক ও থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু হয় তার। ভর্তির ৬ ঘণ্টা পর তার মধ্যে মৃদু শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কমে যায় অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রা। ভর্তির সময়ে করানো বুকের রেডিওগ্রাফি চিত্রে দেখা যায়, ফুসফুসের বাম দিকের ওপরের অংশ মারাত্মকভাবে সংক্রমিত হয়েছে। পরদিন ১৪ জানুয়ারি তার দেহের তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। ১৫ জানুয়ারি একেবারে শ্বাস গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ে তার জন্য। ওইদিনই ফুসফুসের ডান দিকের নিচের অংশে ঘড়ঘড়ে ভাব চলে আসে (ক্রেপিটেশন) তার।
পরে ১৬ জানুয়ারি থেকে তার পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। সে সময় তার দেহে আর জ্বরের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ল্যাবরেটরি টেস্টে আর কোনো অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া না যাওয়ায় পরদিনই স্বেচ্ছা ঘরবন্দিত্বের উপদেশ দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর ২৯ ও ৩১ জানুয়ারি ফলোআপ পরীক্ষা চালিয়ে তার শরীরে করোনা পাওয়া যায়নি।
নেপালের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ খুব একটা মারাত্মক কিছু ছিল না। পূর্ণ পরিচর্যা ও যথোপযুক্ত চিকিৎসার পরও তাকে সুস্থ করতে সময় লেগেছে ১৩ দিন।
ওই শিক্ষার্থীর পর নেপালে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে আর মাত্র তিনজন। গতকাল পর্যন্ত দেশটিতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত মোট রোগী পাওয়া গেছে সাকুল্যে চারজন।
বিষয়টি অনেকটা আশ্চর্যজনক। কারণ যেখানে উহানে প্রথম সংক্রমণের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নেপালে প্রথম কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেখানে পরের দুই মাসে আর মাত্র তিনজন শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই অবাক হওয়ার মতো ঘটনা।
অনেকেই দাবি করে থাকেন, নেপালিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি। তার পরও করোনা সংক্রমণের এ তথ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে খোদ দেশটির অভ্যন্তরেই। এ নিয়ে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ডিজিজ কন্ট্রোল ডিভিশনের সাবেক পরিচালক বাবুরাম মারাসিনির বলেন, কভিড-১৯-এর ঘটনা কম থাকার বিষয়ে গোটা বিশ্বই এখন নেপাল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এর আগেও চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া দুই মহামারী—২০০২ সালের সার্স এবং এইচ১এন১ (এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা) সংক্রমণের সময়েও নেপালে মৃত্যুর তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছিল মাত্র তিনজনের নাম।
মারাসিনি জানান, আমার ধারণা, যদি এখানে কার্যকর একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু থাকত তাহলে কভিড-১৯-এর আরো ঘটনা সামনে আসত।স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে নেপালি হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীদের পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাবুরাম মারাসিনি বলেন, যদি গত বছরের এ ধরনের রোগীর সংখ্যার সঙ্গে এ বছরের তথ্য তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে এবার এ সংখ্যা বেড়েছে। করোনা ভাইরাস যে নেপালে বিদ্যমান, এটিই হলো তার পরোক্ষ প্রমাণ।
অন্যদিকে দেশটির সেন্টার ফর মলিকিউলার ডায়নামিকসের কর্মকর্তা সমীর দীক্ষিত জানান, তিনি এরই মধ্যে এ দুই বছরের সংখ্যা তুলনা করে দেখেছেন। এবং এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ডিজিজ কন্ট্রোল ডিভিশনের তথ্যেও ফ্লু-জাতীয় রোগীর সংখ্যা বাড়েনি।
প্রসঙ্গত, দেশটির ২০-২৫টি সরকারি, বেসরকারি ও কমিউনিটি হাসপাতাল প্রাক-সতর্কতা ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়ার আওতায় এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ডিজিজ কন্ট্রোল ডিভিশনে এ ধরনের রোগীর তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
অন্যদিকে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা সামনে তুলে ধরে সমীর দীক্ষিত বলেন, কভিড-১৯-এ যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে মারাত্মক পরিস্থিতিতে গেছেন মাত্র ১০-১৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত কমসংখ্যক পরীক্ষা করানোর বিষয়টি একটি বড় ব্যাপার হতে পারে, কিন্তু আপনারা কি মনে করেন না, যদি এটি সেভাবে ছড়িয়েই পড়ত; তাহলে বয়স্কদের মধ্যে মারাত্মক অসুস্থ রোগীর সংখ্যা ভয়াবহ হারে বেড়ে যেত? কিন্তু তা হচ্ছে না। প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় আমিও ভেবে অবাক হই, কেন হচ্ছে না? এবং এটি আমাকে ভাবিয়েই মারছে।
ইমিউনোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির পোস্টগ্র্যাজুয়েট সমীর দীক্ষিতের বিশ্বাস, মানুষ ভয়াবহ পর্যায়ে আক্রান্ত না হওয়ার কারণ হচ্ছে, নেপালে ভাইরাসটির স্ট্রেইন তুলনামূলক দুর্বল এবং/অথবা নেপালিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, পরীক্ষা না করানোটাও আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ার একটি বড় কারণ হতে পারে। আমি মনে করি, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা উন্নয়নশীল দেশগুলোয় একটি বড় ভূমিকা রাখছে। আমি জানি এটি শুনতে অদ্ভুত মনে হতে পারে, অনেকে শুনে হাসতেও পারেন, কিন্তু এ নিয়ে এক ধরনের হাইজিন হাইপোথিসিস (পরিচ্ছন্নতার তত্ত্ব) রয়েছে।
এ তত্ত্ব বলছে, যারা তুলনামূলক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বড় হয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তুলনামূলক বেশি হয়। তবে ভাইরাসজনিত মহামারীর ক্ষেত্রে এ ধরনের তত্ত্বের সত্যতা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি এখনো বলে জানালেন সমীর দীক্ষিত। তবে এর স্বপক্ষে আগেকার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তিনি।
এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এইচ১এন১ মহামারীর সময়ে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে ৭০ থেকে ১৪০ কোটি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে দেড় লাখ থেকে ছয় লাখ মানুষের। অন্যদিকে নেপালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৭৩ জন। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
এর আগে ২০০৩ সালের সার্স মহামারীর সময়েও নেপালে এ রোগে কেউ আক্রান্ত হওয়ার বা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে নেপালিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার তত্ত্বকে সরাসরি বাতিল করে দিয়েছেন দেশটির পাতান হাসপাতালের চিকিত্সক বুদ্ধ বাসনিয়াত। তার মতে, আমরা যে কোনোভাবে রোগ প্রতিরোধী, তা এ মুহূর্তে ভাবাটাই বোকামি। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আমি মনে করি, এটি এক ধরনের অনুমাননির্ভর ভিত্তিহীন ধারণা।
তিনি বলেন, আশা করি এখানে মহামারীর প্রকোপ দেখা দেবে না। আমি আশা করি, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ে এসব তত্ত্ব সত্যি প্রমাণ হোক। কিন্তু এটি কোনো একবার প্রাদুর্ভাব ঘটিয়ে চলে যাওয়া ভাইরাস নয় বলে আমার আশঙ্কা। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এমনিতেই বেশ দুর্বল। আমি মনে করি, আমাদের এখন দুর্যোগ মোকাবেলার পরিকল্পনা করা উচিত।
ভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত হলেও গণহারে করোনা পরীক্ষা করানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছেন না সমীর দীক্ষিত। তিনি বলেন, নেপালের মতো উন্নয়নশীল দেশের পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য সীমিত। ৮০-৮৫ শতাংশের মতো লোক, যাদের মধ্যে মৃদু লক্ষণ দেখা দেবে; তাদের সবাইকে পরীক্ষা করানোর সম্ভাব্যতা ধোপে টেকানো মুশকিল। এদের আমরা খুঁজে পাব কীভাবে। এক্ষেত্রে একটা কাজ করা যায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করানো, কিন্তু সেটা কতটা বাস্তবসম্মত। আমাদের জীবন বাঁচানো প্রয়োজন। গোয়েন্দাগিরি নয়।
সমীর দীক্ষিতের পরামর্শ, এ মুহূর্তে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ১০-১৫ শতাংশকে শনাক্ত করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়া কভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির পর ভুলবশত ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ এ-তে আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
হিমালয়কন্যা নেপালে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী সেভাবে শনাক্ত না হলেও, এ-সংক্রান্ত কিট, সুরক্ষা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে দেশটিকে সহায়তা করছে তিন পরাশক্তি—যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত। বিশেষ করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় রূপ নিয়েছে বিষয়টি। এক্ষেত্রে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে দেশটিকে কাছে টানার কৌশলই মুখ্য ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর ল্যানসেট, নেপালি টাইমস।
উল্লেখ্য, চীন থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। সেখানে ভাইরাসটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও অন্যান্য দেশে বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ২৭২ জন। এ নিয়ে করোনা ভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৩৪০ জনে। এর মধ্যে চীনে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৯২। চীনের বাইরে মারা গেছে ২৪ হাজার ৪৮ জন।
বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ হাজার ৪৮৬ জনসহ আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭২৩ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৫ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ জন। এছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৩ জন।
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৬ জন আক্রান্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ লাখ ১২ হাজার ৪৯৩ জনের অবস্থা সাধারণ। বাকি ২৩ হাজার ৫২৩ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেয়াসুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারি ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস পৃথিবীজুড়ে অদ্ভুত এক আঁধারের ছায়া নিয়ে এসেছে। চারিদিক নিরব, নিস্তব্ধ। কেউ কারও সাথে মিশছে না বা চাইছে না। যেন সবাই সবাইকে এড়িয়ে যেতে পারলেই বাঁচে। ‘বিশ্ব গ্রাম’ ধারণায় মানুষ অনেক বছর ধরেই একাকি জীবনের অভ্যস্ত হয়ে উঠছিল। কিন্তু এতটা একাকি হয়তো তারা কখনোই হয়নি। যে চাইলেও তারা একে অন্যের সাথে দেখা করতে পারবে না। সবাই যেন এক যুদ্ধ কেন্দ্রীক জরুরি অবস্থায় রয়েছে।
এক করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। অধিকাংশ দেশেই রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার ফাঁকা। যেন সব ভূতুড়ে নগরী, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে। সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর আশঙ্কা।
উহান, চীনের শিল্পোন্নত এই শহর থেকেই প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ভাইরাসটি প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেও চীনের বাইরে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
চীনে উদ্ভূত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন