বরফে আচ্ছাদিত মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশটির প্রায় ৯৮ শতাংশই ঢেকে আছে বরফে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের শীতলতম স্থান এই অ্যান্টার্কটিকায়। গলতে শুরু করেছে হাজার বছর ধরে জমে থাকা বরফের স্তর। মাত্র নয়দিনের তাপপ্রবাহে আন্টার্কটিকার বরফের চাদর প্রায় ২০ শতাংশ গলে গেছে। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রকাশিত কিছু ছবিতে এমন ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে এসেছে।
নাসার ছবিতে দেখা যায়, দ্বীপপুঞ্জের যে জায়গাগুলি বরফের কারণে কোনো সময়েই দেখা যায় না, তা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকের নয়দিনের তাপপ্রবাহের কারণে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। বরফ গলে বেরিয়ে এসেছে টলটলে জলের আস্তরণ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি রেকর্ড উষ্ণতম দিন ছিল অ্যান্টার্কটিকায়। তাপমাত্রা পৌঁছায় ৬৪.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। ওই দিন লস এঞ্জেলেসেও একই তাপমাত্রা ছিল।
নাসা জানিয়েছে, মাত্র এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই ঈগল আইল্যান্ডের চূড়ার চার ইঞ্চি বরফের আস্তরণ গলে যায়।
ম্যাসাচুসেটসের নিকোলস কলেজের জিওলজিস্ট মৌরী পেলটো জানিয়েছেন, ‘অ্যান্টার্কটিকায় এত তাড়াতাড়ি গলে যাওয়া পুকুর কখনও এর আগে দেখা যায়নি। এভাবে বরফ গলে যাওয়ার দৃশ্য আলাস্কা ও গ্রিনল্যান্ডে দেখা গেলেও তা এর আগে কখনও অ্যান্টার্কটিকায় দেখা যায়নি।’
পরিবেশ বিজ্ঞানী জেভিয়ার ফেটউইসের মতে, এই গ্রীষ্মে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে এই তাপপ্রবাহ।
বিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে গরমের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের শীতলতম স্থানে কখনও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন