ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের আনা মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন সিএএর প্রতিবাদে করা অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে একজন দিল্লি পুলিশও রয়েছে। আহত প্রায় দেড়শ জন। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকা। আর এ অবস্থায় উত্তর-পূর্ব দিল্লির চারটি থানা এলাকায় সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
শুধু তা না নয়, সিরিপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল (ট্রেনিং) সচ্চিদানন্দ শ্রীবাস্তবকে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতেই দিল্লির পুলিশের স্পেশাল কমিশনার পদে নিয়োগ করেছে দেশটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়।
নর্থ ব্লক সূত্রের দাবি, সিএএ বিরোধীদের ওপর রাতেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চিরুণি তল্লাশি ও বড় হামলা চালাতে পারে পুলিশের বিশাল বাহিনী।
দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, ভজনপুরায় মঙ্গলবারও আগুন জ্বলেছে।এমনকি উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে সেই উত্তেজনা দিল্লি শহরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে করা আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে দিল্লিতে পুলিশি অ্যাকশন তীব্র হয়ে ওঠেছে। গো়ড়ায় দেখামাত্র গুলি চালনার কথা পুলিশের হেড কোয়ার্টার থেকে ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু দেখা যায় উত্তর-পূর্ব জেলায় যমুনা বিহারের পুলিশ সুপার মাইকে সে কথা ঘোষণা করছে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশের কথা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশ।
সেই সঙ্গে আরও দেখা গিয়েছে দেশটির উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ সর্বভারতীয় বিজেপির সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের করা টুইটে বলা হয়েছে , দিল্লিতে চারটি এলাকায় দেখামাত্র গুলির নির্দেশ জারি হয়েছে।
এনিয়ে দিল্লি শহর এখন আগুন আর গুলির শহরে পরিনত হয়েছে। আজ রাতেই মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে করা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের বড় ধরনের হামলা করার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ওয়াল ব্যুরো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন