দিল্লির মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ধর্মের নামে যারা দেশকে ভাগ করতে চাইছে, তাদের পরাস্ত করতে হবে। কারণ, ভারতে কোনও সাম্প্রদায়িক নীতির জায়গা নেই। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে।
সোমবার উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য সহ চারজনের মৃত্যু হয়। নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভকারীরা পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি যানবাহন ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। দিল্লির রাজপথ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়, নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনী এবং বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
হিন্দিতে জারি করা কংগ্রেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হেড কনস্টেবল রতন লালের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।”
এই সংঘর্ষের ঘটনাকে “বিরক্তিকর” বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক টুইটে তিনি লেখেন, “দিল্লিতে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা বিরক্তিকর এবং স্পষ্টভাবে নিন্দনীয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ভাল গণতন্ত্রের লক্ষণ, তবে হিংসাকে সমর্থন করা যায় না। দিল্লিবাসীকে অনুরোধ জানাচ্ছি, শান্তি বজায় রাখুন, যতই প্ররোচণা আসুক না কেন বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি রাখুন।”
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
হিন্দিতে করা এক টুইটে তিনি লেখেন, “দিল্লিতে সারাদিন হিংসায় পরিপূর্ণ ছিল। শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই হিংসার আগুনের সম্মুখীন হয়।একে বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব। মহাত্মা গান্ধীর দেশ, শান্তির দেশ। আমি দিল্লির মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাই এবং কংগ্রেস কর্মীদের বলব, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সাহায্য করুন।”
সোমবার সন্ধ্যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা বলেন “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে”, তবে আশপাশের এলাকা থেকে হিংসার খবর আসতে থাকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার” কথা জানানো হয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন