ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিমতীরের ইহুদি বসতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এক প্রতিবেদনে সংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ১১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছে।
বিবিসি গতকাল জানিয়েছে, জাতিসংঘের তালিকায় এয়ারবিএনবি, বুকিং ডটকম, এক্সপেডিয়া গ্রুপ ও মোটোরোলা সল্যুশনের মতো কোম্পানিও আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই অবৈধ বসতির যোগসাজশ আছে, যৌক্তিক ভিত্তি থেকেই জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। বৈশ্বিক এ সংস্থাটির মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ফিলিস্তিনিরা একে ‘আন্তর্জাতিক আইনের বিজয়’ অ্যাখ্যায়িত করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলিরা বলছে এটা ‘লজ্জাজনক’।
তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৯৪টিই ইসরায়েলভিত্তিক; বাকিগুলো যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের।
১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে সেখানে এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠা ১৪০টির মতো বসতিতে প্রায় ৬ লাখ ইহুদি বসবাস করছেন।
ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরেই বসতিগুলোর উচ্ছেদ চাইছে। কারণ ইহুদি বসতি ও স্থাপনা পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে নিয়ে তাদের আকাক্সিক্ষত স্বাধীন রাষ্ট্রকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা মনে করে। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বসতিগুলোতে নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোর একটি তালিকা বানাতে ওএইচসিএইচআরকে দায়িত্ব দেয়।
যেসব কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিগুলোর তালিকা করতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে আছে- পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের কাঁটাতার ও বসতির বিস্তৃতিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ, সেখানে থাকা বাড়িঘর ও স্থাপনা, কৃষিজমি, গ্রিনহাউস, জলপাইয়ের বাগান ও শস্য ধ্বংসে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ, বসতিগুলো টিকিয়ে রাখতে ও এর দেখভালের জন্য যাতায়াতসহ বিভিন্ন সেবা ও পরিসেবা নিশ্চিত করা, বসতিগুলোর আধুনিকায়ন, ব্যবস্থাপনা ও বিস্তৃতির ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখে এমন ব্যাংকিং ও বিভিন্ন আর্থিক কর্মকাণ্ড, যেমন গৃহ নির্মাণ ও ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন