মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব পরা আবশ্যক। সম্প্রতি ইউরোপের দেশ সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি স্কুলে নারীদের হিজাব পরার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্কুরুপ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। হিজাববিরোধী এ আইনের প্রতিবাদ করেন ওই স্কুলের ৬ অমুসলিম শিক্ষিকা।
দক্ষিণ সুইডেনের স্কুরুপ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের একটি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য হিজাব পরাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। প্রতিবাদে ওই স্কুলের ৬ অমুসলিম শিক্ষিকা হিজাব পরে হিজাববিরোধী এই আইনের প্রতিবাদ করেন।
তাঁরা জানান, ‘মুসলিম শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানাতেই তাঁরা হিজাব ব্যবহার করে এ প্রতিবাদ করেন। সুইডেনের ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত ‘সুইডেন ডেমোক্রেট’-দের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্কুরুপ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
হিজাববিরোধী আইনের বিষয়ে প্রতিবাদ ও মন্তব্য করেছেন অনেকে। তাদের বক্তব্য-
এদিকে স্কুরুপ পৌরসভাসহ সুইডেনে বসবাসরত মুসলিমরা এবং মুসলিম কমিউনিটিগুলো এ আইনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সুইডেনের মুসলিম সংগঠন ‘মালমোস ইয়ং মুসলিম’স্কুরুপ পৌরসভা টাউন হলের বাইরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সেখানে কয়েক শ’ প্রতিবাদকারী অংশ নেয়।
- প্রস্টামোসেসকোলনের প্রধান শিক্ষক মাতিয়াস লিডহোম
‘তিনি পৌরসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকার করছেন। তিনি বলেন, আমি বা আমার সহকর্মীরা কেউ এটি প্রয়োগ করব না। আর উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব হলো পৌরসভার।’
- ‘মালমোস ইয়ং মুসলিম’-এর প্রধান তাসনিম রউফ
‘হিজাব নিষিদ্ধকারীরা বর্ণবাদী। তারা এ আইনের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের পোশাক নির্বাচন ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অস্বীকার করেছে।’
- সুইডিশ জাতীয় শিক্ষা সংস্থার আইনজীবী আন্ড্রেয়াস লিন্ডহাম
‘হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ’ধর্মের স্বাধীনতাবিষয়ক ইউরোপীয় কনভেনশনের পরিপন্থী।
- সুইডেন ডেমোক্রেট পার্টির নেতা লার্স নাইস্ট্রাম
‘ছেলে-মেয়েরা মুখ ও চুল গোপন করার জন্য কোন পোশাক পরবে তা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত বিষয় নয়।’
উল্লেখ্য যে, ‘পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, বিগত কয়েক দশকে সুইডেনে মুসলমানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ১৯৫০ সালে দেশটিতে ৫০০ মুসলমানের বসবাস ছিল। যা বর্তমানে ৮ লাখে পৌঁছেছে। আর তা সুইডেনের মোট জনসংখ্যার ৮.১ শতাংশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন