পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত সফরের আমন্ত্রণ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান না করে এড়িয়ে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠাতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারপত্রিকার খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
এর আগে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার(এসসিও) সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের বার্ষিক সম্মেলনে ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাতে হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, বিধিমালা ও কনভেনশন অনুসারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের অন্য প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেবেন; সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব পাকিস্তানের।
প্রথমবারের মতো চলতি বছরে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ হচ্ছে ভারত। সোমবার নয়াদিল্লিতে এসসিও’র মহাসচিব ভ্লাদিমির নোরোভ সাংবাদিকদের এমন দাবি করেছেন।
নোরোভ বলেন, চলতি বছরে সংস্থাটির প্রধানদের সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। এমন সিদ্ধান্তে সব সদস্য দেশই খুশি। এতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৭ সালের জুনে সংস্থাটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় ভারত ও পাকিস্তান। ২০০১ সালে সাংহাইয়ে রাশিয়া, চীনা, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টদের সম্মেলনে এসসিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
অধিকৃত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় স্থানীয় এক যুবকের আত্মঘাতী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ প্রায় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। কাজেই তখন থেকে সৃষ্ট তিক্ত সম্পর্কের মধ্যে ইমরান ভারত সফরে যাবেন কিনা; তা নিয়ে সন্দিহান ছিল কূটনীতিক মহল।
পাক প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, বালাকোটের পর সম্পর্কের অবনতির মধ্যে ভারত সফরে গেলে ইমরান খানের পক্ষে তার যথার্থতা ব্যাখ্যা করা কঠিন হবে। খুব সম্ভবত, তিনি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠাবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন