২০০২ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি ট্রেনে আগুন লেগে ৫৯ জন হিন্দু নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের জন্য মুসলমানদের দায়ী করে তাদের ওপর হামলা শুরু করে হিন্দুরা। যদিও ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মুসলমানদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের ‘গুলবার্গ সোসাইটি’ আবাসিক এলাকায় হামলা চালায় হিন্দুরা। এতে ৬৯ জন মুসলিম প্রাণ হারান। এরপর শুরু হয় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা। এতে গুজরাটে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন মুসলিম।
১৭ বছর আগের ভয়াবহ ওই দাঙ্গার সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের এখনকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাট সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে পরোক্ষ উস্কানি দেওয়া এবং নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই নানবতি-মেহতা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। আর সেই নানবতি-মেহতা কমিশনই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ তৎকালীন গুজরাট রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দাঙ্গার তদন্তে গঠিত নানাবতী-মেহতা কমিশন। অর্থাৎ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে বা নিয়ন্ত্রণে সরকারের গড়িমসির কোনো অভিযোগের প্রমাণই খুঁজে পায়নি কমিশন। তবে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশই ব্যর্থ ছিল বলে দাবি করেছে কমিশন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন