২০০২ সালের ভারতের গুজরাটে দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিল নানাবতী কমিশন৷ ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই দাঙ্গায় ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন৷ দাঙ্গার পর তদন্তের জন্য গঠিত হয়েছিল নানাবতী কমিশন৷
বুধবার গুজরাট বিধানসভায় নানাবতী কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হয়৷ ৫ বছর আগে রিপোর্টটি সাবমিট করা হয়েছিল৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোধরা কাণ্ডের পরে যে দাঙ্গা লেগেছিল, তা সংগঠিত ছিল না৷ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জিটি নানাবতী ও অক্ষয় মেহতা ২০১৪ সালে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেন৷ তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আনন্দীবেন প্যাটেল৷
২০০২ সালে নানাবতী কমিশন গঠিত হয়েছিল গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য৷ নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে মোদিকে ক্লিনচিট দিয়ে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যের কোনো মন্ত্রীর প্ররোচনায় বা নির্দেশে হামলা হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ নেই’। এ ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ তার প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সদিচ্ছা দেখায়নি সেই সময়’।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে দাঙ্গা চললেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু পুলিশ অফিসার ‘প্রয়োজনীয় তৎপরতা ও আগ্রহ দেখাননি’। কিছু পুলিশ অফিসার আবার দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছে কমিশন।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগ্নিকাণ্ডে ৫৯ করসেবকের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় তিন দিন ধরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন সহস্রাধিক। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম। দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাট সরকার এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে পরোক্ষ উস্কানি দেওয়া এবং নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
ঢাকা টাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন