ভুল তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়ার অভিযোগে ভারতের নাগরিকত্ব হারালেন তেলেঙ্গানার টিআরএস বিধায়ক রমেশ চেন্নামানেনি।
বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ‘রমেশ চেন্নামানেনির ভারতীয় নাগরিকত্ব থাকাটা জনহিতকর নয়।’ রমেশ জার্মান নাগরিক। ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার আগে এক বছরের বিদেশ সফর করেছিলেন তিনি। অথচ আবেদনপত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ নিয়ম বহির্ভূত কাজের জন্যই তার নাগরিকত্ব হারাতে হচ্ছে। এ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১৩ পাতার একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে কলকাতার প্রভাবশালী সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।
এর আগে তেলেঙ্গানার এ বিধায়কের নাগরিকত্ব নিয়ে ২০১৭ প্রশ্ন উঠে। সে সময় কেন্দ্র থেকে তার নাগরিকত্ব বাতিল করলে রমেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট থেকে কেন্দ্রকে বিষয়টি পুনরায় যাচাই করতে নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার সে বিষয়ে ফের প্রতিবেদন দাখিল করা হল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন রমেশ। তখন বৈধ নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করেন তিনি। ‘রমেশের অপব্যাখ্যা ভুল পথে চালিত করেছিল কেন্দ্রকে। আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখই করেননি যে, এ আবেদন জমা দেয়ার আগে এক বছর তিনি ভারতে ছিলেন না। এ কথা তিনি জানালে তখনই তার আবেদন খারিজ হয়ে যেত।’
ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন সংক্রান্ত নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা আছে, যে কোনো অভারতীয় (অনুপ্রবেশকারী নয়) এই নাগরিকত্ব পেতে পারেন যদি তিনি ১২ বছর ভারতবর্ষে থাকেন। এ সময়কালের মধ্যে মোট ১১ বছর এ দেশে থাকতেই হবে। আবেদন করার আগে অন্তত ১২ মাস দেশ ছাড়া চলবে না।
রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আবেদনপত্র জমা দেয়ার আগে ১২ মাস দেশে ছিলেন না। সে তথ্য তিনি গোপন করেছিলেন।
রমেশের দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি রাজ্যে ক্ষমতাসীন। হায়দরাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভেমুলাওয়াড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জেতেন রমেশ। তার বিধায়ক পদ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রের প্রতিবেদনে।
সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তিনি যে অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, সে অঞ্চলের মানুষের কাছে তার কাজ উদাহরণ হিসেবে থাকার কথা। কয়েক লাখ মানুষের ওপরে প্রভাব রয়েছে যার, তিনি ভুয়া তথ্য দেবেন এমনটা কাম্য নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন