ভারতে যদিও গোটা প্রক্রিয়া সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবাংলার কারামন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও প্রথম থেকে এনআরসি-র বিরোধিতা করে আসছে। শুধু তাই নয়, বাংলায় কোনও এনআরসি হবে না বলে এর আগে একাধিকবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফৌজদারী অপরাধে ধৃত বিদেশিদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে দু’টি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ক্যাম্প তৈরি হবে নিউ টাউনে এবং অপরটি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়।
যদিও এর সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম ডিটেনশন সেন্টার তৈরির জন্য ইতোমধ্যে নিউ টাউনে জমি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আর দ্বিতীয় সেন্টারটি তৈরির জন্য বনগাঁয় জমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তবে সেটি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত কোনও সরকারি ভবনকে অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারের রূপ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে থেকে পশ্চিম বাংলায় কোনও এনআরসি হবে না বলে একাধিকবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রয়োজনিয়তা প্রসঙ্গে রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় বন্দিদের সঙ্গে বিচারাধীন এবং সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকদের একসঙ্গে রাখা যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ অনুসারে ডিটেনশন ক্যাম্প দুটি তৈরি করা হচ্ছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এর সঙ্গে এরআরসি-র কোনও যোগ নেই। দয়া করে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির বিষয়টির সঙ্গে এনআরসি জড়াবেন না।’ এখন স্থানীয় বন্দি এবং বিদেশি বন্দিদের একই সঙ্গে রাখা হয়। কারা দফতর সূত্রে খবর, ফৌজদারী অপরাধে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে বন্দি বিদেশি নাগরিকদের অধিকাংশই আফ্রিকার বাসিন্দা।
এই প্রসঙ্গে ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশিকার কথাও উল্লেখ করেছে রাজ্যের কারামন্ত্রী। এই নির্দেশিকায় অনুপ্রবেশকারী এবং সাজার মেয়াদ শেষের পরে বিদেশের নাগরিকদের ফেরৎ পাঠানোর আগে রাখার জন্য প্রতিটি রাজ্যে অন্তত একটি ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কথা বলা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন