দশকের পর দশক ধরের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। তবে সম্প্রতি সময়ে রোহিঙ্গাদের গণধর্ষণ ও গণহত্যার মারাত্মক আকার ধারণ করে। ২০১৭ সালের এই ঘটনায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
নির্মম এই অত্যাচারের ঘটনায় চাপে রয়েছে মিয়ানমার সরকার। কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছে দেশটি। তবে চীনসহ কিছু পরাশক্তির সাহায্যে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে সু চির সরকার।
কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই তদন্ত প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।
গত সোমবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলা করার পর বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিবৃতি দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে মানবতা অপরাধ সংগঠিত হয়েছে কি না তা তদন্তের অনুমতি দেয়া হয়।
এতে আরও বলা হয়- মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বর হত্যাকাণ্ড ও ভয়াবহ নির্যাতন চালানোর অভিযোগে অং সান সুচির বিরুদ্ধে মামলার একদিন পর এ অনুমোদন পাওয়া যায়। আর্জেন্টিনায় মামলা করেছে রোহিঙ্গা বিষয়ক লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।
এই তদন্তের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও তেই বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর আইসিসির এই তদন্ত আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি তদন্তের জন্য মিয়ানমারের নিজেদেরই কমিটি রয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনও ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন