দখলদার ইসরাইলের বিলোপ দাবি করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, সেখানে নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেটা কেবল ইহুদিদের জন্যই হবে না। তার এই দাবির প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা দেশগুলোতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার তিনি বলেন, খ্রিষ্টান, মুসলমান ও ইহুদিসহ ফিলিস্তিনি জনগণ ওই ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
‘ইসরাইলি রাষ্ট্রের বিলোপ মানে এই নয় যে ইহুদিদের বিলোপ সাধন। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই,’ মন্তব্য এই ইরানি ধর্মীয় নেতার।
তেহরানের একটি সমাবেশে তিনি আরও বলেন, চাপিয়ে দেয়া শাসন ও রাষ্ট্রের বিলোপের অর্থ হচ্ছে, ফিলিস্তিনি জনগণ– হোক তারা মুসলমান, খ্রিষ্টান কিংবা ইহুদি- নিজেদের সরকার গঠন করতে পারবেন এবং বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর মতো হিংস্র অপরাধীদের ক্ষমতাচ্যুত করা।
ইসরাইলকে কখনো রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি ইরান। বরং এটাকে একটি ইহুদিবাদী দেশ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।
১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের অপরিবর্তনীয় ভবিষ্যতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি।
বিপরীতে অধিকৃত ভূখণ্ডে হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও লেবাননে হিজবুল্লাহর মতো ইসরাইলের ঘোর শত্রুদের প্রতি অবিরত সমর্থন জানাচ্ছে তেহরান।
খামেনি বলেন, আমরা ইহুদি বিদ্বেষী নই, আমাদের দেশে ইহুদিরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবেন। আমরা কেবল ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছি।
ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইসলামের শত্রুরা ইসলামিক দেশগুলোতে বিরোধ বাড়াতে চায়। কাজেই এসব শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন