ভারতের জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে মুখোমুখি দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার অঞ্চলটির বাসিন্দাদের আটকের ঘটনায় সরকারের প্রতি তিরস্কার জানায় আদালত।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, কাশ্মীরে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ তুলে একাধিক আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে।
এতে কেন্দ্রীয় সরকার ও কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আদালত।
আদালতের কাছে একটি আবেদন ছিল প্রবাসী ভারতীয় আসিফা মুবিনের। তার স্বামীকে কাশ্মীর থেকে আটক করা হয়। তাতে ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন আসিফা।
সুপ্রিম কোর্ট জম্মু-কাশ্মীর সরকারের কাছে জানতে চায়, কেন এ ক্ষেত্রে হলফনামা দাখিল করা হয়নি? জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয় যে, তারা পাঁচ মিনিটেই হলফনামা দাখিল করতে পারে।
কেন ওই সব অভিযোগের জবাব দিতে দেরি হয়েছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীদের আবেদনের চাপেই তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।’
এরপরেই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট দুই সরকারের আইনজীবীকেই সাফ জানিয়ে দেয়, ‘যা বলবেন মেনে নেব, এটা ধরে নেবেন না।’
আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী হুজিফা আহমদি বলেন, ‘প্রশাসন যদি আবেদনকারীদের সরকারি নির্দেশ না দেখাতে পারে, তা হলে অবশ্যই তা আদালতে পেশ করা উচিত। কাশ্মীরে প্রত্যেকটি আটকের ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ব্যাখ্যা করা উচিত।’
এর পরেই শীর্ষ আদালত দুই সরকারকেই নাগরিকদের আটক করার জন্য উপযুক্ত সরকারি অর্ডার পেশ করার নির্দেশ দেয়।
অনেক মোবাইল ব্যবহারকারীরই অভিযোগ, উপত্যকায় গত দু’মাস ধরে টেলি যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ থাকলেও এর বিল জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। এ বিষয়টি নিয়ে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন