আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল কিনা তা নিয়ে তিন বছর ধরে টানা বিতর্ক চলছে।
এ নিয়ে অসংখ্যবার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।
আমেরিকার চলমান রাজনৈতিক সংকট বিশেষ করে ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তের মধ্যে বুধবার আরও একবার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নিয়ে সাংবাদিকের সামনে পড়েন পুতিন।
কিন্তু এবার একেবারে হালকা চালে রসিকতা করলেন তিনি।
পুতিনকে রীতিমতো প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনেও তিনি হস্তক্ষেপ করবেন কিনা। এমনিতে ধীর ও গম্ভীর স্বভাবের মানুষ পুতিন।
কিন্তু এমন প্রশ্নে স্মিত হেসে ইশারায় বলেন, চুপ কর! একথা আর কাউকে বলো না, আমরা ২০২০ সালের নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করব।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ, ট্রাম্পকে জিতিয়ে দিয়েছেন পুতিন। এ ব্যাপারে বারবার প্রশ্ন সত্ত্বেও বিরক্ত হননি তিনি। বরং পুতিনের কৌতুকপূর্ণ স্বীকারোক্তিতে তারা না হেসে পারলেন না।
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পর্কে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায় কিনা সেই তালাশে ছিলেন এনবিসির সাংবাদিক কেইর সিমন্স। মস্কোতে ‘এনার্জি উইক ফোরাম’র ফাঁকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সেই প্রশ্নই করে বসেন তিনি। কিন্তু গুরুতর প্রশ্নের উত্তরে মিলল হাসিভরা কৌতুক।
পুতিন তার সামনে মাইক্রোফোনটি হাতচাপা দিয়ে নিচু গলায় সিমন্সকে বললেন, তোমাকে গোপনে বলতে পারি, হ্যাঁ আমরা নিশ্চিত আগামী মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছি।
পুতিনের এ কথায় উপস্থিত সবার মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। এরপরই পুতিন বলেন, কিন্তু তুমি একথা কাউকে বলো না। ঠিক আছে! এরপর পুতিন অন্য প্রসঙ্গে গিয়ে বলেন, ‘মস্কোর নিজেরই অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর সমাধান করতে হচ্ছে। রয়েছে নিজেদের ইস্যু। আমরা সেগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’
আবার রুশ গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের অতীতের কথা স্মরণ করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা বলে, টেলিফোনে কথা বললে তা যে কোনো সময় প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। এজন্য আমি অন্য কোনো নেতার সঙ্গে কথা বলার সময় সাবধান থাকি।’
সূত্র : সিএনএন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন