ইরানের রাজধানী তেহরান মহানগরীর সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাশফুল। শুধু তাই না, নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভবনের বাগানে ইরানের খ্যাতনামা গোলাপসহ অন্যান্য ফুলের সঙ্গেও কাশফুলের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশে আপনজালা এ উদ্ভিদ তেহরানে পুরোপুরি ফুলের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে।
তেহরানে সড়ক দ্বীপ, পার্ক বা রাস্তার পাশে অন্যান্য ফুলের সঙ্গে কাশফুলের গাছও লাগানো হয়। গ্রীষ্মের শেষ থেকে কাশফুলের দেখা মিলতে থাকে এখানে।
তেহরানের সব কাশফুলই শাদা নয়। হালকা ঘিয়ে, খানিকটা বাদামি রং’এর পাশাপাশি সাদা কাশ ফুল দেখা যায় এ নগরীতে। চার ঋতুর দেশটিতে শীতকালেও দেখা মেলে কাশফুলের। বৃষ্টি ও বরফ মাথায় নিয়ে তুলনামূলক ভাবে ম্রিয়মাণ হয়ে দুলতে থাকে তারা।
হাকিম, চামরান, ওয়লিআস্রসহ তেহরান মহানগরীর অনেক প্রধান সড়কের পাশেই দেখা যাবে কাশফুলের অমলিন শোভা। ময়দানে ওয়ালিআসরসহ মহানগরীর ব্যস্ততম অনেক এলাকার সড়ক দ্বীপে কাশফুলের মনোরম শোভা অনেকেরই নজর কেড়েছে।
বসন্তের তেহরানে ফুলের শুভ্র হাসিতে ভরে ওঠে। তখন কিন্তু এ নগরীতে দেখা মেলে না কাশফুলের।
ছন গোত্রের একজাতীয় ঘাস হলো কাশফুল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum। কাশফুলের বেশ কিছু ভেষজ গুণ আছে – বলে দাবি করা হয়। তবে ভেষজ সে গুণের খবর তেহরানবাসী জানেন কিনা নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
উইকিপিডিয়া সূত্র থেকে জানা গেছে, পিত্তথলিতে পাথর হলে নিয়মিত এ গাছের মূলসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে ওষুধ তৈরি করে পান করলে সে পাথর দূর হয়। কাশমূল বেঁটে চন্দনের মতো নিয়মিত গায়ে মাখলে গায়ের দুর্গন্ধ নাকি দূর হয়। এছাড়াও শরীরে ব্যথানাশক
ফোঁড়ার চিকিৎসায় কাশের মূল ব্যবহৃত হয়। অবশ্য, ভেষজ হিসেবে কাশফুল বা কাশমূল ব্যবহারে কেউ সত্যিই উপকার পেয়েছেন কিনা জানি না।
পার্সটুডে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন