সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মুহূর্তে নিজেদের জ্বালানি শিল্প বড় ধরনের অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে দেশটি।
চলতি সপ্তাহে সৌদির দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার জেরে বিশ্ববাজারের বিশাল সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
সেই ঘাটতি পূরণে নিয়মিত তেল রফতানির পাশাপাশি নিজেদের কৌশলগত মজুদ ব্যবহারের চিন্তা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।তেল স্থাপনায় হামলার ফলে সৌদির দৈনিক তেল উৎপাদন এখন প্রায় অর্ধেক।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রফতানিকারক দেশটির দৈনিক গড় উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি ব্যারেল। হামলার পর সেখান থেকে ৫৭ লাখ ব্যারেল কমেছে। তেলের সরবরাহও কমিয়েছে রিয়াদ। যা বৈশ্বিক মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশ।
হামলার দু’দিন পর সোমবারই তেলের দাম বাড়ে ১০ শতাংশেরও বেশি। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়ানোয় এর দাম লাফিয়ে ৬০ দশমিক ৭১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ব্রেন্ট সংস্থায় তেলের দাম ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে এখন ৬৭ দশমিক ৩১ ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ড্রোন হামলার পর সৌদির দৈনিক উৎপাদন এখন প্রায় ৪৫ লাখ ব্যারেলে নেমেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক উত্তোলন ১ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল।
নিয়মিত ৩০ লাখ ব্যারেল রফতানি করে দেশটি। বৈশ্বিক বাজারে সরবরাহ ঘাটতির সুযোগে এখন তাদের উৎপাদন ও রফতানিও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন