ব্লু হ্যালিবুট নামে এক প্রজাতির সুস্বাদু মাছের খোঁজে বের হয়েছিলেন নরওয়ের জেলে (মৎস্যজীবী) অস্কার লুনড্যাল।
মাছটি গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায় বলে সেটির খোঁজে নরওয়ের সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গিয়েছিলেন অস্কার। এরপর সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে বঁরশি ফেলে অপেক্ষা করছিলেন কখন সুস্বাদু সেই মাছ ধরা দেবে।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অস্কারের বঁরশির সুতোয় টান লাগলো। খুশিতে লাফিয়ে উঠে বঁরশির সুতো গোটাতে শুরু করলেন তিনি। প্রায় আধঘন্টা এভাবে সুতো গোটানোর পর মাছসহ বঁরশিটি নৌকায় তুলেই ভয়ে আঁতকে উঠলেন অস্কার।
তার বঁরশিতে অদ্ভুত ধরণের একটি প্রাণি ধরা পড়েছে, দেখতে একেবারে ছোটখাটো একটা ডায়নোসরের মতো। শরীরের তুলনায় বড় বড় চোখ ও সরু লেজ। খুব ভয়ঙ্কর দেখতে।
প্রাণিটি দেখে প্রথমে ভয়ে আঁতকে উঠলেও কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে উঠেন অস্কার। তিনি বুঝতে পারেন তার হাতে এমন একটি প্রাণি ধরা পড়েছে যা দুর্লভ, সচরাচর দেখা যায় না।
প্রাণিটিকে হাতে নিয়ে ছবি তোলেন অস্কার। তারপর খবর দেন স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে। কারণ ডায়নোসরের মতো দেখতে এই প্রাণিটির নাম কি, এটি কোন প্রজাতির প্রাণি সেটা জানা ছিলনা অস্কারের।
পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে অস্কার জানতে পারেন এই প্রাণিটির নাম র্যাটফিশ। এরা হাঙরের সমগোত্রীয় এবং প্রায় ৩০ কোটি বছরের পুরোনো প্রাণি। গভীর সমুদ্রে বসবাস করার কারণে খুব কমই দেখা মেলে এই প্রাণির।
অস্কার জানিয়েছেন, প্রাণিটি দেখতে ভয়ঙ্কর দেখতে হলেও তিনি সেটিকে বাড়িতে নিয়ে যান। শুধু তাই নয় তিনি সেটিকে ভেজে খেয়েও ফেলেন।
তার দাবি র্যাটফিশ নামের এই প্রাণিটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং ভিন্ন স্বাদের। অস্কার আরো জানান, সেদিন শুধু এই র্যাটফিশই নয়, দুইটি ব্লু ব্যালিবুটও ধরা পড়েছিল তার বঁরশিতে, যে মাছের সন্ধানে তিনি গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়েছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন