এতদিনের রীতি ভেঙে আমিরাতে মন্দির, চার্চ সহ অমুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে আরব আমিরাত। সব ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলের দৈনন্দিন কাজে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবুধাবি প্রশাসন।
আগামী সপ্তাহে আমিরাতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অমুসলিমদের ১৮টি প্রার্থনাস্থলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই তালিকায় মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে আবু ধাবির কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
আবুধাবি প্রশাসন বলছে, সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনা হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মসজিদের পাশাপাশি মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে।
প্রশাসন বলছে, ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার মূল্য উদ্দেশ্য হল সেগুলোকে সরকারি একটি চ্যানেলের আওতায় আনা। এর মাধ্যমে সরকারের ধর্ম বিষয়ক বিভাগ বিশেষ পরিষেবা দিতে পারবে। একইসঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোর কোনও বিশেষ প্রয়োজন হলে তারাও এই চ্যানেলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। ফলে জনগণ বা কোনও ব্যক্তি নতুন ধর্মীয় স্থান তৈরি বা সংশ্লিষ্ট পরিষেবা শুরু করতে চাইলে এই দফতরে আবেদন করতে হবে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় স্থানগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে আবুধাবিতে শান্তি, সহিষ্ণুতা এবং সহাবস্থানের পরিবেশ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে গড়ে উঠতে চলেছে প্রথম হিন্দু মন্দির। সম্প্রতি হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে ওই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোচাসনবাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থার মহন্ত স্বামী মহারাজ। তারাই এই হিন্দু মন্দিরটি নির্মাণ করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবদীপ সুরিও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত আবু ধাবিতে অমুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনও আইনি বৈধতা ছিল না।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন