নিজে নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানকে বিশ্বজয়ী করেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্রিকেট মাঠের এই অলরাউন্ডার যে একদিন রাজনীতিতেও হাত পাকাবেন তা কে জানতো। ২২ গজের লড়াকু অগ্রনায়ক সেই ইমরান খান এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বে তিনিই প্রথম কোনও ক্রিকেটার- যাকে ভোট দিয়ে দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। এতে করে পাক জনতা তথা ক্রিকেটপাগল দুনিয়ায় কৌতুহল জাগতেই পারে- তবে কি ইমরান খানের মতোই জনপ্রিয় নন্দিত কোনও ক্রিকেট তারকা পাকিস্তানের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী হবেন? যদি তাই হয়, তবে ইমরানের পরে কে? কোন নামটি সবচেয়ে এগিয়ে?
বিষয়টি সামনে এসেছে মূলত দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি এ নিয়ে কানাঘুষার কারণে। পাকিস্তানের সোস্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উঠেছে- দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন?
সেই গুঞ্জনের বড় কারণ, সম্প্রতি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায় আফ্রিদিকে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ‘আফ্রিদি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ ভাবতে শুরু করেন অনেকে।
এ নিয়ে ক’দিন ধরেই ফেসবুকে টুইটারে কথা চালাচালি হচ্ছে তুমুল। কারও কারও জিজ্ঞাসা- ইমরানের পর কি আফ্রিদিই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
জবাবে একজন লিখেছেন- ‘আফ্রিদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে ভারতের! কারণ, আফ্রিদি বড় মনের মানুষ। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে কাশ্মিরকে সবার আগে ভারতের হাতে তুলে দিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও শান্তি বজায় রাখবেন!
জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়া নিয়ে শুরু থেকেই সরব আফ্রিদি। প্রধানমন্ত্রী ও ক্রিকেট মাঠের পূর্বসূরি ইমরান খানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনিও দিল্লির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। এমনকি কাশ্মিরের মুসলমানদের সুরক্ষায় মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এরইমধ্যে সম্প্রতি মুজফফরাবাদে একটি সম্মেলনে গিয়ে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের সঙ্গে দেখা হয় আফ্রিদির। সেখানে তারা কুলাকোলি করেন ও উভয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এসময় দুজনকেই হাসতে দেখা যায়।
এদিকে মোদী সরকারের কঠোর সমালোচনা করে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদি বলেছেন, ‘কাশ্মিরে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। শুধু কাশ্মির নয়, বিশ্বের যেখানেই মানুষের ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন হবে সেখানেই নিপীড়তদের পাশে দাঁড়াবে পাকিস্তান।’
আফ্রিদির ওই বক্তব্যকে অনেকেই রাজনীতি ঘেঁষা মনে করেছেন। এবং আফ্রিদি যে ইমরান খানের পথ ধরেই একদিন পাকিস্তানের মসনদে আরোহন করবেন সেই ভাবনাও এসেছে অনেকের মাথায়।
তবে রাজনীতিতে আসা কিংবা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছে কিংবা আগ্রহ নিয়ে এখনও আফ্রিদি নিজে মুখ খুলেননি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন