আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন।
তার আগের দিন, সোমবার কল্যাণেশ্বরীতে পুজো দিলেন তার স্ত্রী যশোদাবেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে গাড়িতে করে তিনি এসে পৌঁছন মন্দিরে।
দেশটির আনন্দবাজার পত্রিকার খবর, ধানবাদের হিরাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন যশোদাবেন। সোমবার তিনি প্রথমে ঝাড়খণ্ডের কাতরাশের রামমন্দিরে পুজো দেন। সেখান থেকে সোজা কল্যাণেশ্বরীতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় অশোক মোদি।
যশোদাবেন এসে পৌঁছনোর পরেই তাকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সঙ্গীদের নিয়ে মন্দির চত্বরে ঢোকেন তিনি। অশোক মোদি একটি দোকান থেকে পুজোর জিনিসপত্র কিনে আনার পরে সেই ডালা হাতে নিয়ে মূল মন্দিরে পৌঁছন যশোদাবেন।
মন্দিরের পুরনো সেবায়েত দিলীপ দেওঘরিয়া জানান, বিশিষ্ট কেউ পুজো দিতে এলে সাধারণ পুণ্যার্থীদের নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়। এ দিনও তার অন্যথা হয়নি। শুধু মন্দিরের সেবায়েতদেরই কাছে যাওয়ার অনুমতি ছিল।
তিন বার মন্দির প্রদক্ষিণ করে পুজোর জায়গায় যান যশোদাবেন। মিনিট কুড়ি ধরে পুজো দেওয়ার পরে খানিকক্ষণ মন্দিরের চারপাশ ঘুরে দেখে দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ফিরে যান তিনি।
এ দিন পুজোর দায়িত্বে থাকা সেবায়েত বিল্টু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনি (যশোদাবেন) নিজের নামেই পুজো দিয়েছেন। স্পষ্ট মন্ত্র উচ্চারণ করছিলেন। পুজো শেষে আমাকে ১০১ টাকা দক্ষিণা দিয়েছেন। সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন। আর কোনও কথা হয়নি।’
আরেক সেবায়েত মিঠু মুখোপাধ্যায় জানান, রোববার রাত থেকেই তারা কানাঘুষো শুনেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী আসতে পারেন। তাই প্রস্তুত ছিলেন।
যে দোকান থেকে পুজোর সামগ্রী কেনেন যশোদাবেন, সেটির মালিক রাজেশ নোনিয়া জানান, ২০১ টাকার ডালা কিনেছেন তিনি।
রাজেশ বলেন, ‘উনি নিজেই এসে আমার দোকান থেকে উপাচার কিনলেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন