উঁচু আর নিচু জাত আলাদা করতে রিস্টব্যান্ড পরে স্কুলে আসতে হয় শিক্ষার্থীদের। ভারতের তামিলনাড়ুতে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটির অনেক স্কুলে এমন বৈষম্যমূলক রীতি চালু আছে।
ইন্ডিয়া টুডে, নিউজ বাংলা সহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।
জাত বিভেদ নিয়ে একের পর এক শিরোনাম হচ্ছে ভারতের তামিলনাড়ু। রাজ্যটির অনেক গ্রামে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দ্বারা কোণঠাসা দলিতরা। স্কুলেও এই জাত বিভেদের রেখা টেনে দেওয়ার এই ঘটনা সমালোচিত হয়েছে।
আলাদা আলাদা রঙের রিস্ট ব্যান্ড পরে স্কুলে আসতে দেখা যায় শিশুদের। জানা যায়, তামিলনাড়ুর অনেক স্কুলেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
এই রীতিকে সমর্থন জানিয়ে বিতর্কিতও হয়েছেন রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী কেএ সেঙ্গোত্তাইয়ান। তবে স্কুলের এমন জাত বিভেদের রীতিকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দাবি সরকারের।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, যেসব স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। সমাজে বৈষম্য ছড়ানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো এই প্রথাকেই সমর্থন জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন; “যেমন চলছিল তেমনই চলবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমাকে না জানিয়েই এই প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমি বিষয়টি জানতে পেরে; পদক্ষেপ নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যেমন রঙিন রিস্টব্যান্ড পরে স্কুল আসছিল; তেমনই আসবে।”
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় জানা যায়, রাজ্যটির কিছু স্কুলে জাত অনুযায়ী শিশুদের লাল, হলুদ, গেরুয়া কিংবা সবুজ রিস্টব্যান্ড পড়ে আসতে হচ্ছে। এমনকি জাত পরিচয় স্পষ্ট করতে নির্দিষ্ট রঙের আংটি ও কপালে তিলক লাগাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এমনও দেখা গিয়েছে, ইউনিফর্মের নিচে নিজেদের জাতের নেতার ছবি দেওয়া গেঞ্জি পড়ে আসতে হয় কয়েকটা স্কুলে। উঁচু জাতের শিশুরা বিশেষ সুবিধাও পেয়ে থাকে স্কুলগুলোতে। এসব ঘটনায় দলিতদের প্রতি আরও বেশি বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে সমাজকর্মীদের মত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন