কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীরা এখন পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আর এই প্রবল বিক্ষোভের সামনেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন কিছু সেনা। হামলার মুখেও পিছু হটেন না তারা। দিনের পর দিন বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় সেই পাথরের মতো মনোবলেও চিড় ধরছে। কাশ্মীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়া সাংবাদিকদের অভিজ্ঞতা কিছুটা তেমনই।
ওই সাংবাদিকরা জানান, কাশ্মীরের শ্রীনগরের লালচকে সিআরপিএফ জওয়ান গৌতম (নাম পরিবর্তিত) এক রিপোর্টারকে টিভি ক্যামেরায় তাঁর মুখটা কিছুক্ষণ ধরে রাখতে অনুরোধ করেন।
সে সময় ৩৫ বছর বয়সী গৌতম জানান যে, ২০ দিনের বেশি সময় ধরে বাড়ির লোকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে পেলে বাড়ির লোক অন্তত এটুকু বুঝতে পারবেন যে, তিনি ভালো আছেন। শর্ট নোটিশে জম্মু-কাশ্মীরে যখন আগস্টের প্রথমদিকে চলে এসেছিলেন, তখন ছয় বছর বয়সী মেয়ের ছিল প্রচন্ড জ্বর। মেয়ে কেমন আছে, সেই চিন্তায় স্বস্তি নেই চেন্নাইয়ের বাসিন্দা গৌতমের মনে।
কাশ্মীরে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের মতো সমস্যায় পড়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরাও।
আরেকজন সিআরপিএফ কনস্টেবল রিপোর্টারকে জিজ্ঞেস করলেন যে, তাঁর মোবাইল কাজ করছে কিনা।
তিনি জানান, বাড়িতে তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী। কিন্তু দীর্ঘদিন যোগযোগ করতে পারছেন না। বাড়ির সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরে মোতায়েন অতিরিক্ত ৮০,০০০ সেনার মনোবল ধরে রাখাই এখন নতুন চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, সিআরপিএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল রবিদ্বীপ সাহাই জানান, জওয়ানদের জন্য বিশেষ হ্যান্ডসেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন