কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আর কোনও সংলাপে বসতে আগ্রহী নন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইমরান খান।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে ইমরান খান ভারতের কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আর কোনও সংলাপে যেতে আগ্রাহ নেই পাকিস্তানের।’
এতে করে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
সাক্ষাতকারে ইমরান খান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ৫ আগস্টের আগে ও পরে বার বার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনও মানে নেই। আমি অনেক কথা বলেছি। এখন আমি পেছনে ফিরে তাকালে দেখতে পাই যে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি আর তারা একে দুর্বলতা বলে মনে করেছে। আমাদের এর বেশি আর কিছু করার নেই।’
এর আগে ভারতের বর্তমান উগ্র হিন্দুবাদী সরকারকে ইমরান খান ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের দাবি, বিরোধপূর্ণ এই অঞ্চলে গণহত্যা হতে পারে।
ইমরান খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কাশ্মীরের প্রায় ৮০ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের আশঙ্কা সেখানে জাতিগত নিধন এবং গণহত্যা সংঘটিত হতে পারে।
ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরে ভারত কোনও ভুল অভিযান চালাতে পারে। পাকিস্তানে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, তখন পাকিস্তানও জবাব দিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ যখন চোখে চোখ রেখে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেয় তখন যেকোনও কিছুই হতে পারে। বিশ্ব শান্তির জন্য যা ভালো কিছু নয়।’
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত-পাকিস্তান তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কাশ্মীর ইস্যুতে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে আবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন