কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর এবার ধর্মান্তর ঠেকাতে বিল আনতে যাচ্ছে মোদী সরকার।ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, মূলত হিন্দুদের ধর্মান্তর রোখা ও ‘লাভ জিহাদ’-এর মতো ঘটনা আটকাতেই ওই বিল আনতে চাচ্ছে তারা, যা সঙ্ঘ পরিবারের দীর্ঘদিনের দাবি।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
বিজেপির নেতাদের একাংশের দাবি, ভালবাসার নামেও পরিকল্পিতভাবে হিন্দু মেয়েদের ধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে। সেটাকেই ‘লাভ জিহাদ’ বলছেন তারা। যদিও বিরোধীদের দাবি, একজন প্রাপ্তবয়স্ক কোন ধর্মে বিয়ে করবেন বা কোন ধর্ম গ্রহণ করবেন, সেটা তার মৌলিক অধিকার। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘বিলটি না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বোঝাই যাচ্ছে নির্দিষ্ট একটি ভোটব্যাঙ্ককে বার্তা দেওয়াই লক্ষ্য।’
বিজেপির দাবি, স্বাধীনতার সময়ে ভারতে ৯০% হিন্দু ছিল। এখন তা ৭২-৭৩%। যদিও আদম শুমারির নথি বলছে, ১৯৫১ সালে ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৪%। ২০১১ সালে তা কমে হয়েছে ৭৯.৮০%। পরিবার পরিকল্পনাই যার মূল কারণ বলে মনে করেন বিরোধীরা। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, ধর্ম পরিবর্তনও সমান ভাবে দায়ী। মোদী সরকারের প্রথম পর্বে তাই ‘ঘর ওয়াপসি’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, যখন কোনও হিন্দু অন্য ধর্ম গ্রহণ করছেন, তাকে বলা হচ্ছে ধর্মান্তকরণ। কিন্তু সঙ্ঘ পরিবার যখন কাউকে হিন্দুধর্মের ছাতায় নিয়ে আসছে, তখন তা ঘর ওয়াপসি! এবার ধর্মান্তকরণ পাকাপাকি রুখতেই বিল আনার কথা ভাবনা।
অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির কর্তা স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী বলেন, ‘আমরা চাই সরকার দ্রুত আইন করুক। হিন্দু সমাজের স্বার্থেই তা প্রয়োজন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন