ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বাছাইয়ের ফলাফল ঘোষণা ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন এই দলের যিনিই নেতা নির্বাচিত হবেন তিনিই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন।
ফলাফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিসকে বেছে নেন কনজারটিভ পার্টির সদস্যরা। নির্বাচনে বরিস জনসনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে লন্ডনের সাবেক এই মেয়রের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন অঙ্গীকার করেছিলেন যে, তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলে নির্ধারিত সময় আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই যেকোনো মূল্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করবেন। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পথে হাঁটারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বরিস জনসন।
ব্রেক্সিট ব্যর্থতায় দলে বিদ্রোহের মুখে সরে যেতে বাধ্য হওয়া টেরিজা মে মঙ্গলবার সকালে তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে শেষ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
২০১৬ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দেশটির চার দশকের সম্পর্কোচ্ছেদের রায় হয়। ভোটে হারের পর রক্ষণশীল দলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করলে টেরিজা মে সেই দায়িত্ব নিয়ে বিচ্ছিন্নতার পথরেখা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেন।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এই জোট থেকে কোন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য আলাদা হবে এবং এরপর ইইউভুক্ত বাকি ২৭টি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে, সেই পথ বের করার জন্য ২১ মাস সময় পেয়েছিলেন মে। কিন্তু সেজন্য যে পরিকল্পনা তিনি সাজিয়েছিলেন তা পার্লামেন্টে পাস করাতে না পারায় ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়িয়ে নতুন তারিখ ঠিক হয় ৩১ অক্টোবর। কিন্তু নিজের দলে বিদ্রোহের মুখে গত ৭ জুন নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিতে বাধ্য হন টেরিজা মে, যদিও তার সরকারের মেয়াদ রয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত।
ওই মেয়াদের বাকি সময়ের জন্য যিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন, তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে বিচ্ছেদের হিসাব চূড়ান্ত করতে হবে। আর তাতে তিনি ব্যর্থ হলে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার নতুন চক্করে পড়তে হবে যুক্তরাজ্যকে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন