যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ২০২০ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চান। এ লক্ষ্যে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।
বিরোধী লেবার পার্টিতে বিভক্তির সুযোগকে কাজে লাগাতেই জনসন এ নির্বাচন ডাকতে পারেন বলে বুধবার জানিয়েছে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমস। জনসনের এমন ইচ্ছার কথা তার মিত্রদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় পত্রিকাটি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রেক্সিট ইস্যুতে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ‘ব্যর্থ’ হওয়ার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেন। এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বরিস জনসন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন এবং বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের মধ্যে চলছে লড়াই। দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী পদে কে মে’র স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন, তা মঙ্গলবার জানা যাবে।
বরিস এবং হান্ট দু’জনই এ সপ্তাহে এক বিতর্ক চলাকালে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, তারা যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের করে আনার (ব্রেক্সিট) আগে জাতীয় নির্বাচন ডাকবেন না। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে।
তবে জনসনের এক ঘনিষ্ঠজনের উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস জানিয়েছে, লেবার নেতা করবিনকে ধরাশায়ী করতে জনসন আগাম নির্বাচন করতে চান। করবিন এখনও মাঠে থাকায় পরিস্থিতি জনসন শিবিরের জন্য ইতিবাচক।
লেবার পার্টি পুরোপুরি বিভক্ত হয়ে পড়েছে- ব্রেক্সিট তাদের শেষ করে দিচ্ছে। লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনে লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘শক্ত অবস্থানের জন্য’ জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি প্রধান কার্যালয়ে আরও বেশি অর্থের জোগান দিতে এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে পত্রিকাটি।
যদিও জনসনের মুখপাত্র প্রকাশ্যে এমন কোনো পরিকল্পনা থাকার কথা স্বীকার করেননি।
যুক্তরাজ্যের আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২২ সালে হওয়ার কথা। কিন্তু ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রধান হওয়ার দৌড়ে থাকা দুই প্রার্থীই প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে জাতীয় নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন