তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত মার্কিন কোম্পানির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করাও হুমকি দিয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে।
সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা নিয়ে পুরো বিশ্বই উদ্বিগ্ন। নতুন করে চীনের এ ঘোষণা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও নাজুক অবস্থানে নিয়ে যাবে।
স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আশাও বেইজিং কখনো ছাড়েনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ও চীন নিয়মিত তাইওয়ানকে তাদের সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয় বলে বর্ণনা করেছে।
গত সপ্তাহে পেন্টাগন থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদফতর তাইওয়ানের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।
ওই খবর প্রকাশের পর গত শুক্রবারই তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে চীন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল।
সর্বসাম্প্রতিক অস্ত্র চুক্তি অনুযায়ী, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে দুইশ কোটির বেশি মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুয়াং বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ অস্ত্র বিক্রি করা হচ্ছে। এটি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।’
‘চীন সরকার এবং চীনা কোম্পানি অস্ত্র বিক্রি করা যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব কোম্পানিকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করবে না বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে না।’
“এ মুহূর্তে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলতে পারছি না। তবে জেনে রাখুন, চীনারা সবসময় তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করাকেই গুরুত্ব দেয়।”
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন