ট্রাম্পের ‘দেশে ফিরে যাও’ মন্তব্যের সমালোচনায় মে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘দেশে ফিরে যাও’ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র সমালোচনা করা বিরল পদক্ষেপ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দলীয় কয়েকজন নারী কংগ্রেস সদস্যকে ‘নিজ দেশে ফিরে যাওয়া’র পরামর্শ দেন ট্রাম্প।
সোমবার (১৫ জুলাই) টেরিজা মে ট্রম্পের মন্তব্যের সমালোচনা করেন।
মে বলেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না’। ওই নারী সদস্যদের সম্পর্কে ট্রাম্প যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’।
ট্রাম্প চার নারী কংগ্রেস সদস্য আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-করতেস, রাশিদা তালিব, আইয়ানা প্রেসলি ও ইলহান ওমর’কে ‘নিজ দেশে ফিরে যেতে’ বলে এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতাদের কাছ থেকে বর্ণবাদের অভিযোগের মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে বিভক্ত করা এবং শ্বেতাঙ্গময় করাই ট্রাম্পের উদ্দেশ্য বলেও তারা সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্প যে চার নারী কংগ্রেসের সদস্যকে দেশে ফিরতে বলেছেন, তার মধ্যে প্রথম তিনজনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে, একমাত্র ইলহান ওমরই শিশু অবস্থায় শরণার্থী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন।
এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, “মজার ব্যাপার হচ্ছে, ‘প্রগতিশীল’ এসব ডেমোক্র্যাট নারী সদস্য এমন সব দেশ থেকে এসেছেন, যাদের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ, বিশ্বে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অদক্ষ। অথচ এরাই এখন জোর গলায় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তথা, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশকে জোরগলায় বলছেন, সরকার কীভাবে পরিচালনা করতে হবে। সেটি না করে বরং তাদের উচিত যার যার দেশে ফিরে যাওয়া। সেখানকার অবস্থা বদলানোর পর তারা ফিরে এসে দেখাক, কীভাবে আমাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।”
ট্রাম্প সরাসরি চার নারীর নাম না বললেও তার কথার পটভূমি এবং বিশেষ করে তিনি ডেমোক্র্যাটিক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নাম উল্লেখ করায় কোন চার নারীকে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট ধরা পড়েছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন