ভারত সফরে এসে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তার মতে, ধর্মীয় স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা মানে বিশ্বকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া৷ খবর নিউজ এইটিনের।
বুধবার দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বৈঠকে বসেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পম্পেও।
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রিপোর্ট প্রকাশ করছে গত সপ্তাহেই।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১৮ সালেও ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলমানদের ওপরে হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর হিংসাত্মক আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল৷
মাইক পম্পেওর কথায়, ‘বিশ্বের ৪টি বহুল প্রচলিত ধর্মের জন্মভূমি ভারত৷ আসুন সবাই মিলে ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে একজোট হই৷ সবাই মিলে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য উঠে দাঁড়াই। না হলে এ বিশ্ব সুন্দর থাকবে না৷’
একই সঙ্গে জঙ্গি মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট তালিকায় ঢোকানোর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জকে ধন্যবাদও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কথায়, ‘বিশ্বের দরবারে ভারত ক্রমেই আরও মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে৷ এই ইতিবাচক দিককে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানাচ্ছে৷’
প্রসঙ্গত ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সমর্থন বাড়াতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের পর এবার ভারত এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেন মাইক পম্পেও।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি টানা দ্বিতীয়বারের সরকার গঠনের পর দেশটিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম সফর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন