পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী’ বলার ব্যাপারে দেশটির সংসদের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোমবার সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরি এ আদেশ জারি করেন। ফলে ইমরান খানের নামের আগে সংসদ সদস্যদরা এখন আর ‘সিলেক্টেড’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন না। খবর বিবিসি ও ডন উর্দুর।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে ডেপুটি স্পিকার বলেন, দয়া করে ইমরান খানকে ‘সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী’ বলবেন না।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানকে মেনে নিতে পারেনি তার বিরোধীরা। শুরু থেকেই সংসদসহ সর্বত্র তারা ইমরানকে অনির্বাচিত ও সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছেন।
গত রোববার সংসদের বাজেট অধিবেশনে কয়েকজন বিরোধী সংসদ সদস্য তাদের বক্তব্যে ইমরান খানকে সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওমর আইয়ুব বিষয়টি ডেপুটি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে ডেপুটি স্পিকার সংসদ সদস্যদের এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, এ সংসদে উপস্থিত সব সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই তারা এখানে এসেছেন। তাই কোনো সংসদ সদস্যকে সিলেক্টেড বলা জনগণের রায়কে অসম্মান করা।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো বেশিরভাগ সময় ইমরান খানকে সিলেক্টড প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্বোধন করেন। জবাবে ইমরান খানও তাকে ‘বিলওয়াল সাহেবা’ বলে সম্বোধন করেন। বিলওয়ালের পাশাপাশি অধিকাংশ বিরোধী নেতাদের মধ্যেও নামটির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। মুসলিম লীগ-নওয়াজের মুখপাত্র মারইয়াম নওয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানও ইমরান খানকে সবসময় ‘সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন।
বিরোধীদের মতে, ইমরান খান জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, বরং সেনাবাহিনী ও বিদেশি শক্তির মদদে কারচুপি করে ভোটে জিতেছেন, ‘সিলেক্টেড প্রধানমন্ত্রী’ বলে সে বিষয়টি তারা জনগনের সামনে তুলে ধরতে চান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন