ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির দ্বিতীয়বারের মতো আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়ে দিগুণ শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে। বিজেপি এককভাবে এ নির্বাচনে ৩০৩ আসন লাভ করেছে।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রচুর মুসলিম প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ২৩জন এবং ৫০ জনেরও বেশি প্রার্থী জোড়ালো অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন। বিভিন্ন দল থেকে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় ৫০০ মুসলিম প্রার্থী।
পশ্চিমবঙ্গে এবার পাঁচজন মুসলিম বিজয়ী হয়ে লোকসভায় যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানসহ দুজন নারীও রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বসিরহাটে নুসরাত জাহান রুহী, জঙ্গীপুরে খলিলুর রহমান, দক্ষিণ মালদায় আবু হাশেম খান চৌধুরী, মুর্শিদাবাদে আবু তাহের খান এবং উলুবেরিয়ায় সাজদা আহমেদ বিজয় লাভ করেন। এদের মধ্যে আবু হাশেম ছাড়া বাকি সবাই তৃণমূল থেকে প্রার্থী ছিলেন।
তেলেঙ্গানার হায়দারাবাদে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তিহাদুল মুসলিমিনের (এমআইএম) আসাদুদ্দীন ওয়াইসি।
উত্তরপ্রদেশ থেকে এবার ছয়জন মুসলিম বিজয়ী হয়েছেন। আমেথি থেকে বহুজন সমাজ পার্টির পক্ষে কুনওয়ার দানিশ আলী, গাজীপুর থেকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের পক্ষে আফজাল আনসারী, মুরাদাবাদ থেকে সমাজবাদী পার্টির পক্ষে ড. এসটি হাসান, রামপুর থেকে সমাজবাদী পার্টির পক্ষে মুহাম্মদ আজম খান, সাহারানপুর থেকে হাজী ফজলুর রহমান বহুজন পার্টির পক্ষে, সামভাল থেকে সমাজবাদী পার্টির পক্ষে ড. শফিকুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
বিহারের খাগারিয়া থেকে চৌধুরী মাহবুব আলী কায়সার লোকজন শক্তি পার্টির হয়ে এবং ড. মুহাম্মদ জাভেদ অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিজয় লাভ করেছেন।
পাঞ্জাব থেকে মুহাম্মদ সাদিক বিজয়ী হয়ে পার্লামেন্টে উঠেছেন কংগ্রেসের টিকেট নিয়ে।
অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তিহাদুল মুসলিমিনের পক্ষে মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ থেকে বিজয়ী হয়েছেন ইমতিয়াজ জলিল সাইদ।
অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে আসামের ধ্রুবরি থেকে মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল এবং কংগ্রেসের হয়ে আসামের বারপেটা থেকে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল খালেক।
এদিকে কেরালার পন্যানিতে ইন্ডিয়ান মুসলিম লীগের পক্ষে বিজয়ী হয়েছেন ই.টি. মুহাম্মদ বাশির এবং লক্ষ্যদ্বীপে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির পক্ষে মুহাম্মদ ফয়সাল পিপি বিজয়ী হয়েছেন।
কাশ্মিরের অনন্তনাগে হাসনাইন মাসুদী, বারামুল্লায় মুহাম্মদ আকবর লোন এবং শ্রীনগরে ফারুক আবদুল্লাহ বিজয়ী হয়েছেন জম্মু কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্সের পক্ষে।
অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মুসলিম বিজয়ী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক কম। ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে সব চেয়ে বেশি সংসদ সদ্যস্য নির্বাচিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। ওই নির্বাচনে ৪৯ জন মুসলিম প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কংগ্রেস ৩০জন মুসলিম সদস্য নিয়ে তাদের সংসদ সাজিয়েছিল সেবার।
আরআর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন